লকডাউনের ঘোষণায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজারে ফেরিতে মানুষের ঢল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৯ এএম, ২৭ জুন,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:২৮ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে ঘরে ফেরা মানুষের ঢল নেমেছে। আজ ভোর থেকে অতিরিক্ত যাত্রী পারাপারের এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
আজ সকাল ১০টায় ঘাট এলাকায় ঘরে ফেরা মানুষের ভিড়ের কারণে পা রাখার ঠাঁই ছিল না। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে যাত্রীরা নদীর স্রোতের মতো বাড়ি ফিরছেন। তবে ঢাকামুখী যাত্রীর সংখ্যা কিছুটা বেশি। শুধুমাত্র পণ্যবাহী ও জরুরি যানবাহন পারাপারের কথা থাকলেও ফেরিতে ব্যক্তিগত গাড়িও পারাপার হতে দেখা যায়।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জাকির হোসেন জানান, লকডাউনের নির্দেশনা মানার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। কিন্তু যাত্রীরা বিভিন্নভাবে ঢাকা থেকে ঘাটে আসছে। আবার বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসা যাত্রীরা ঢাকা যাওয়ার চেষ্টা করছে। ঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের চাপ বাড়ার কারণে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। এসব ফেরিতে পণ্যবাহী ট্রাক ও জরুরি পরিষেবার গাড়ির পাশাপাশি যাত্রীরাও পারাপার হচ্ছেন। লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলার বন্ধ থাকায় উত্তাল পদ্মা পারাপারের ফেরিই একমাত্র বাহন। এছাড়া ঘাট এলাকার দুই পাড়ে সহস্রাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়ে আছে। এমন অবস্থায় বিভিন্ন চেকপোস্টে ঘাটে আসা যাত্রীবাহী গাড়ি আটকে দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তবুও কিছুতেই মানুষ মানছে না নিময় ও স্বাস্থ্যবিধি। ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। তবে গণপরিবহন না থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ভেঙে ভেঙে গন্তব্য যেতে পরিবার-পরিজন নিয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়ছে মানুষ। ৩ নম্বর পন্টুন সংযোগ সড়ক বর্ষার পানিতে জলাবদ্ধতা হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়ে গেছে।
বিআইডব্লিউটিসির এজিএম সফিকুল ইসলাম জানান, ভরা বর্ষার কারণে পদ্মায় পানি বেড়ে ঘাটে জলাবদ্ধতা হয়েছে। তবে ঘাটের রেম উঁচু করে ফেরি ঘাট আরও ওপর দিকে আনার জন্য বিআইডব্লিউটিএকে বলা হয়েছে। চাপ বেড়ে যাওয়ায় সব ফেরিই চলছে। তারপরও অপেক্ষারত যানের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। তিনি জানান, রাজধানী থেকে যেমন লোকজন ঘরে ফিরছে, আবার নানা প্রয়োজনে জরুরি কাজ সারতে রাজধানীতেও যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। তাই দুই দিকেই চাপ বেড়েছে।