নালিতাবাড়ীতে নাবালকদের জড়িয়ে সাজানো মামলায় হয়রানির অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ২৩ জুন,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:১১ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্কের বিট কর্মকর্তা শিশু কিশোরদের জড়িয়ে গাছ চুরির মামলা করার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, গত ৮ মে বিট কর্মকর্তা আব্দুর রউফ মিয়া বাদী হয়ে মরা সেগুন গাছ কাটার অপরাধে বন আইনের ২৬/১ খ- ধারায় ৬ জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার নং-০১/সমস-২২/মধু২০২০-২১
স্থানীয় জুলহাস মিয়া রাতের আঁধারে সেই মরা সেগুন গাছটি কেটে পাচারের সময় একটি ট্রলি সহ ১৫.৯ ঘনফুট গাছ উদ্ধার করে বন কর্মকর্তা আব্দুর রউফ মিয়া সহ অন্যান্যরা। পরবর্তীতে মামলা দায়েরের সময় প্রকৃত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে ছাইদুল ইসলামকে ১ নং আসামী করে, ট্রলি চালক সহ আরো ৪ জন শিশূ কিশোরকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা করা হয় বলে সাংবাদিকদের জানান ভুক্তভোগী পরিবার।
জুলহাস মিয়ার চাচা সাবেক মেম্বার ফারুক মিয়ার সাথে এই পরিবারগুলোর পূর্ব শত্রুতা রয়েছে বলে জানা গেছে। বন বিভাগের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে ফারুক এই সুযোগে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করেছেন বলে জানাযায়।
মামলায় অভিযুক্ত রবিউল ইসলামের মা জাহানারা বেগম, হৃদয় হাজং এর মা উজ্জলা হাজং জানান, আমাদের সন্তান বয়সে কিশোর। গাছ চুরির ঘটনার সাথে জড়িত নয়। তবুও তাদের নামে বন বিভাগের মামলা দায়ের করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানাই। স্থানীয় জহিন মারাক, আলাল উদ্দীন, মাসুদ মিয়া সহ অনেকেই বন বিভাগের এমন কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানান। এছাড়াও ভূক্তভোগীরা মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
এ ব্যাপারে মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জার আব্দুল করিম ও বিট অফিসার আব্দুর রউফ মিয়া বলেন মধুটিলা পার্কের একটি সেগুন গাছ চুরি করে কেটে পাচারের সময় ট্রলি সহ আটক করা হয়। ট্রলি এখনও মধুটিলা রেঞ্জ অফিসে জমা আছে। কাউকে হয়রানী বা মিথ্যা মামলা করা হয়নি। বন সংরক্ষন করার জন্যই বন আইনে মামলা করা হয়েছে।