হঠাৎ করেই মাস্কের দাম বেড়ে দ্বিগুণ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬:০২ এএম, ২৮ নভেম্বর,শনিবার,২০২০ | আপডেট: ০৮:২৪ পিএম, ১৪ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
শীতকালে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক ব্যবহারে কড়াকড়ি শুরু হওয়ায় হিলিতে হঠাৎ করেই মাস্কের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। অনেক দোকান ও ফার্মেসি থেকে হঠাৎ করেই উধাও হয়ে গেছে মাস্ক। এদিকে মাস্ক না পাওয়ায় ও দাম বাড়ার কারণে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সরেজমিন হিলি বাজারের বিভিন্ন ওষুধের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ দোকানেই মাস্ক আগের চেয়ে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে কয়েকটি দোকানে মাস্ক নেই বলেও জানা গেছে। কয়েকদিন আগেও প্রতি প্যাকেট মাস্ক (৫০ পিস) ১০০ থেকে ১১০ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আবার কোনো কোনো দোকানে ২০০ টাকা বা তার বেশি দামে মাস্ক বিক্রি হচ্ছে। এদিকে এমন করে মাস্কের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ও মাস্ক না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে বিক্রেতাদের দাবি মাস্কের ক্রয়মূল্য বেশি হওয়ায় কম দামে বিক্রি করা যাচ্ছে না।
হিলি বাজারে মাস্ক কিনতে আসা ইউসুফ হোসেন ও সোহেল রানা বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই নিজেসহ পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষিত রাখতে বাড়ির বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে পরিবারের সবাই মাস্ক ব্যবহার করে আসছি। এ কারণে নিয়মিতভাবেই বাজার থেকে মাস্ক কেনা হয়। কিন্তু গত দুই থেকে তিন দিন ধরে শীতকালে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রোধে প্রশাসনের অভিযান চালানোর ফলে অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করেছেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী মাস্কের দাম দ্বিগুণের বেশি বাড়িয়ে দিয়েছেন। আবার অনেকে মাস্ক রেখেও নেই বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। বাড়তি দাম পেলে ঠিকই বিক্রি করছেন। কয়েকদিন আগেও ৫০ পিসের প্রতি বক্স মাস্ক ১০০ থেকে ১১০ টাকা করে কিনলেও সেই বক্স এখন ১৮০ টাকা চাচ্ছে। আবার কেউ কেউ ২০০ বা তার বেশি দাম নিচ্ছেন। মাস্কের মূল্যবৃদ্ধি রুখতে ও সরবরাহ নিশ্চিতে প্রশাসনের অভিযান চালানোর দাবি জানান তারা।
হিলি বাজার ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, আগে আমাদের মাস্কের প্রতি ৫০ পিসের বক্স কিনতেই খরচ হতো ৭০ টাকা। বর্তমানে করোনার কারণে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তা বেড়ে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা করে বক্স কিনতে হচ্ছে। এসব মাস্ক খুচরাতে যা ১৫০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে, বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে, যার কারণে বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। কেউ যদি ২০০ টাকা বক্স বিক্রি করে, সে বেশি দামে বিক্রি করছে।
অনেক দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ হয়তো মাস্ক রেখেও বলছে নেই। কিন্তু আসলে মাস্কের অভাব নেই। হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বলেন, করোনার এই সময়ে কেউ যেন এটিকে পুঁজি করে বিশেষ করে মাস্কের দাম বাড়াতে না পারে সে বিষয়ে বাজারের সব ওষুধ ব্যবসায়ীর মাস্কের মূল্য তালিকা টাঙানোর নির্দেশনা প্রদানের পাশাপাশি মানুষ যেন সেটি দেখতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সঙ্গে কেউ যেন মাস্কের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দাম বেশি নিতে না পারে, এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।