কপোতাক্ষ নদের ওপর হাজার মানুষের বাঁশের সাঁকো
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৭ পিএম, ১০ জুন,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৩৬ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২৪
যশোরের কেশবপুরের ত্রিমোহীনি বাজারে কপোতাক্ষ নদের কলারোয়ার দেয়াড়া সীমান্তের ওপর স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৫ বছরেও সেতু নির্মাণ হয়নি। ফলে দু'পাড়ের হাজার হাজার মানুষ বাঁশের সাঁকো পার হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে । এ নদের ওপর ব্রিজ নির্মাণ এখন উভয় পাড়ের মানুষের কাছে সময়ে দাবিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু তাদের দাবিটি দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত হয়ে আসছে।
জানা গেছে, কেশবপুরের ত্রিমোহীনি এলাকার মানুষকে বিভিন্ন প্রয়োজনে সাতক্ষীরা অঞ্চলে এবং সাতক্ষীরার মানুষকে এ অঞ্চলে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু একটি মাত্র সেতুর কারণে এক কিঃ মিঃ পথ যেতে এসব মানুষকে ঘুরতে হয় প্রায় ২৫ কিঃ মিঃ পথ। যা ভূক্তভোগীদের জন্য যেমন বিড়াম্বনার তেমনি সময়ও নষ্ট হয়। কেশবপুর সদর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরের ত্রিমোহীনি এলাকার কপোতাক্ষ নদের ওপর ব্রিজ নির্মাণ করা হলে কেশবপুর উপজেলাসহ কপোতাক্ষ নদ এলাকার মানুষকে সাতক্ষীরা জেলা শহরে যেতে ২৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হতো না। যার কারণে কপোতাক্ষ নদ তীরবর্তী এলাকার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার কোনো উন্নয়ন ঘটেনি।
এলাকাবাসি জানান, প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির অনেক দূর, আর সে কথা বিবেচনা করে ঘাটের টোল তোলা বন্ধ করে কপোতাক্ষ নদ তীরবর্তী এলাকার মানুষ নিজেরা চাঁদা দিয়ে বাঁশ ক্রয় করে নির্মাণ করেছেন বাঁশের সাঁকো। সাঁকো দিয়ে প্রতিদিনই কেশবপুর, শার্শা ও কলারোয়া উপজেলার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন।
ত্রিমোহীনি বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমান জানান, কপোতাক্ষ নদের ওপর ব্রিজ নির্মাণের দাবি দীর্ঘ দিনের হলেও সে দাবি বাস্তবায়নে কারো মাথা ব্যথা নেই। ব্রিজ নির্মিত হলে মানুষকে ২৫ কিলোমিটার দুরত্ব অতিক্রম করতে হতো না। এখানকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পেতো।
সাঁকো সংরক্ষন কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, নদ তীরবর্তী এলাকার মানুষ নিজেরা চাঁদা দিয়ে বাঁশ ক্রয় করে সেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করা হয়েছে বাঁশের সাঁকো। যখন মেরামত করতে হয় তখন বাঁশ ক্রয়ের জন্য পথচারিদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়। সাঁকো দিয়ে প্রতিদিনই কলারোয়ার দেয়াড়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষকে বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে ত্রিমোহীনি বাজারে আসতে হয়।
ত্রিমোহীনি ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক রেজাউল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ নদের ওপর ব্রিজ নির্মাণ এখন উভয় পাড়ের মানুষের কাছে সময়ে দাবিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু তাদের দাবিটি দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত হয়ে আসছে। তিনি আরো জানান, কলারোয়া উপজেলার কপোতাক্ষ নদ তীরবর্তী এলাকার বিভিন্ন গ্রামের শত-শত ছাত্র-ছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পার হয়ে ত্রিমোহীনি এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখা-পড়া করে।