গুরুদাসপুরে জোরপূর্বক ঢেলে দেওয়া দাহ্য পদার্থে পুড়ে গেলো গৃহবধূর হাত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৪ পিএম, ৪ জুন,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৫৫ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
নাটোরের গুরুদাসপুরে পৌরসদরের গুরুদাসপুর বাজার সংলগ্ন একটি বাসায় গিয়ে পান্না (৩০) নামের এক গৃহবধুকে মারধর ও দাহ্য পদার্থ ঢেলে দিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে পৌর সদরের মিলন নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।
আহত গৃহবধূ গুরুদাসপুর বাজার এলাকার মোঃ শফিকুল ইসলামের স্ত্রী ও অভিযুক্ত মিলন চাঁচকৈড় বাজারপাড়ার আব্দুস সামাদের ছেলে। এ ঘটনায় মিলন নামের যুবককে আটক করেছে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ।
আহত গৃহবধু পান্না জানান, অভিযুক্ত মিলনের ভাই ইমদাদুল হোসেনের সাথে আর্থিক বিষয়ে পূর্বে একটি ঝামেলা রয়েছে। সেই জেরেই ইমাদুলের ভাই মিলনসহ অজ্ঞাত ৪ জন ব্যক্তি গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ জুন) দুপুর আনুমানিক দেড়টার দিকে তার বাসায় প্রবেশ করে জোর পূর্বক নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করে।
সাক্ষর না দেওয়ায় তারা তাকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত করে ও একটি বোতল থেকে তরল দাহ্য জাতীয় পদার্থ তার দুই হাতে ঢেলে দেয়। এক পর্যায়ে তার দুই হাতের কবজির ওপরের অংশ কালো হয়ে যায় এবং তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তবে মিলন ব্যতিত আর অন্য কাউকে তিনি চিহ্নিত করতে পারেননি।
অভিযুক্ত মিলন হোসেন জানান, তার বড় ভাই ইমদাদুল হোসেন তার কাছে ৬ লক্ষ টাকা পায়। এ নিয়ে একাধিকবার শালিশি বৈঠক হয়েছে। তবে তিনি এ ঘটনার সময় চাঁচকৈড় বাজারে ছিলেন। পাওনা টাকা না দেওয়ার জন্য তাকে ও তার ভাই ইমদাদুল হোসেনকে ফাঁসানোর জন্য এই নাটক সাজিয়েছে। সুষ্ঠ তদন্ত করার দাবী জানান তিনি।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান, আহত গৃহব্ধূ পান্নার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মিলন নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।