টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণসহ ৭দফা দাবিতে খুলনা বিএনপির স্মারকলিপি প্রদান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪১ এএম, ৪ জুন,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:০২ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
দ্রুত ত্রাণ, পানিসম্পদ ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দূর্গত এলাকা পরিদর্শন, খাদ্য সামগ্রী, ঔষধ ও খাবার পানি দ্রুত প্রেরণ, ক্ষয়-ক্ষতি নিরুপণ ও ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাকে উপদ্রুত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা, কর্মহীন মানুষের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানে মহা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাস্তবায়ন, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলায় দক্ষিণাঞ্চলীয় সেল গঠন ও অফিস স্থাপন, ক্লাইমেট চেঞ্জের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেশের দক্ষিণের জনপদ জীব বৈচিত্র রক্ষায় পৃথক ফান্ড গঠন ও অর্থ সংগ্রহের ব্যবস্থার দাবিতে সরকারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে খুলনা বিএনপি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় খুলনার জেলা প্রশাসক মো. হেলাল হোসেনের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মরকলিপিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, গত ২৬ মে/২১ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছাসে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের জেলাগুলি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উপকূলীয় বাঁধ ভেঙ্গে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়া দেশের রপ্তানীমুখ্য মৎস্য সম্পদ বিনষ্ট হয়ে বিলিন হয়ে গেছে রাস্তাঘাট, ধ্বংস হয়ে গেছে বাড়ি ঘর, বন্যপ্রাণী ভেসে গেছে, দেখা দিয়েছে খাদ্য ও খাবার পানি সংকট। মানুষ হারিয়েছে তাদের কর্মসংস্থান। কিন্তু এখনো শুরু হয়নি জরুরী ত্রাণ তৎপরতা। সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল মন্ত্রীসহ খবর রাখেননি দেশের প্রধানমন্ত্রী। দেশের দক্ষিণের মানুষ বরাবরই সরকারের অবহেলার শিকার। আইলা ও আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত জনপদের ক্ষতিগ্রস্থ জনগণকে বলা হয়েছিলো উপকূলীয় মানুষ রক্ষায় টেকসই বেড়িবাঁধ, সবুজ বেষ্টনী, কর্মহীন মানুষের জন্য ব্যবস্থা করা হবে বিকল্প কর্মসংস্থান কিন্তু কিছুই হয়নি।
ক্লাইমেট চেঞ্জ এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে উপকূলীয় জনগণকে রক্ষা ছিলো জাতীয় অঙ্গীকার আর এজন্য জাতিসংঘ গড়ে তুলেছিলো বিশাল অর্থ সাহায্যের ফা-। জনমণে প্রশ্ন এত ডামাডোল পিটিয়ে বিশ্ব সম্মেলনে সরকার প্রধানের যোগদান এবং জনগন রক্ষায় অঙ্গিকার কেন বাস্তবায়িত হচ্ছে না? আইলা-আম্ফান ও ইয়াসে সম্পদ হারা মানুষের দাবি ত্রাণ চাইনা, চাই টেকসই বেড়িবাঁধ। গত একদশকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জনপদের মানুষ হয়েছে পেশাহীন ও কর্মহীন। প্রকৃতির সাথে লড়াই করতে যেয়ে বেশীর ভাগ মানুষ তাদের সর্বস্ব হারিয়েছে। ঝড় জলোচ্ছাসে কেড়ে নিয়েছে মৎস্য সম্পদ, জমির শস্য, গবাদি পশু, ধ্বংস হয়েছে বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও খাবার পানির আধার এবং চলাচলের রাস্তা ঘাট।
উপকূলীয় জনগণের সীমাহীন দুর্দশা লাঘবে জনগণ রাস্তায় নেমেছে। গণমাধ্যম অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে সকল সংবাদ প্রচার করেছে তারপরও সরকারের নিরব থাকা জনমনে নানান প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বিগত দিনে সরকারের দেয়া সকল অঙ্গীকার অবাস্তবায়িত হয়নি। শুধুমাত্র ঝড়ের পূর্বাভাস প্রচার করাই কি সরকারের কাজ? ঝড়ের পর ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় কেন সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা পরিদর্শন করলেন না। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পশ্চিম বাংলায় মূখ্যমন্ত্রী দু’রাত নিজেই অফিসে বসে সকল কাজ মনিটরিং করেছেন ও দুর্গত এলাকায় উদ্ধার কাজ ও ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছেন তাহলে আমাদের সরকারের অবহেলা কারণ কি? স্মারকলিপিতে শুধু অঙ্গিকার নয় বরং জনগণের বেঁচে থাকার অধিকার রক্ষায় দ্রুত সকল পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, জেলা সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা, জাফরুল্লাহ খান সাচ্চু, এড. ফজলে হালিম লিটন, স ম আব্দুর রহমান, শাহ জালাল বাবলু, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মন্টু, সিরাজুল হক নান্নু, আবু হোসেন বাবু, মাহবুব কায়সার, আশরাফুল আলম নান্নু, এড. শহিদুল আলম, মহিবুজ্জামান কচি, সাজ্জাদ হোসেন পরাগ, চৌধুরি হাসানুর রশিদ মিরাজ, মিজানুর রহমান মিলটন, এনামুল হাসান ডায়মন্ড, আবু সাঈদ শেখ, তানভীরুল আজম রুম্মান, শামসুল বারি পান্না, মোহাম্মাদ আলী, সিরাজুল ইসলাম লিটন, শরিফুল ইসলাম শরীফ প্রমুখ।