না’গঞ্জের ফতুল্লায় বলৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৮ পিএম, ১ জুন,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৩৮ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্রকে বলৎকার করার অভিযোগে এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মাদ্রাসা শিক্ষক রফিকুল ইসলাম (৪০) পটুয়াখালী জেলার পটুয়াখালী থানার নন্দিগ্রামের মৃত হযরত আলীর পুত্র ও ফতুল্লার ভুইঘর রঘুনাথপুরস্থ হযরত ওসমান (রাঃ) তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষক।
গতকাল সোমবার (৩১ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে থানার ভুইঘর রঘুনাথপুর হযরত ওসমান (রাঃ) তসহফিজুল মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে সকালে বলৎকারের শিকার ছাত্রটির মা বারো বছর বয়সী তার পুত্র সন্তানকে বলৎকারের অভিযোগ এনে ফতুল্লার ভুইঘর রঘুনাথপুরস্থ হযরত ওসমান (রাঃ) তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষক রফিকুল ইসলাম কে আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
বাদীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, হযরত ওসমান (রাঃ) তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসায় গত তিন বছর পূর্বে হিফজ বিভাগে তার ছেলে পড়াশুনা করিতো। লকডাইন পরিস্থিতিতে তার ছেলে পাশের অপর একটি মাদ্রাসায় তথা তাফকিরুল উম্মাহ হিফ্জ মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে পড়াশুনা করে। উক্ত তাফকিরুল উম্মাহ হিফ্জ মাদ্রাসায় পড়াশুনাকালীন সময় উল্লেখিত বিবাদী রফিকুল ইসলান প্রায় সময় বাদীর ছেলেকে বর্তমান মাদ্রাসা থেকে পূর্বের মাদ্রাসায় ডেকে নিয়ে যেতো। প্রায় সময় তিনি বর্তমান মাদ্রাসার শিক্ষক শামীম হায়দারকে ফোন করে বাদীর ছেলেকে রফিকুল ইসলামের মাদ্রাসায় যেতে বলতো। তখন বিবাদীর কথায় উক্ত শামীম হায়দার তার ছেলেকে বিবাদীর নিকট পাঠাইলে রফিকুল তার মাদ্রাসার ৩য় তলার তাহার নিজ কক্ষ নিয়ে দরজা বন্ধ করিয়া প্রায় সময়ই বাদীর ছেলেকে বলৎকার করিতো।
এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসের ২৫ তারিখে একই কায়দায় তার ছেলেকে ডেকে নিয়ে বলৎকার করে রফিকুল। এতে করে তার ছেলে অসুস্থ হয়ে পরে। এক পর্যায়ে ২৮ তারিখ বাদীকে ফোন করে অসুস্থতার বিষয় সহ বলে বলৎকারের বিস্তারিত ঘটনা খুলে বললে বাদী ৩০ তারিখ ফতুল্লায় আসে এবং তার ছেলের নিকট থেকে বিস্তারিত শুনে থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলৎকারের কথা স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধ মামলা পক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।