জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির শ্রদ্ধা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ২৫ মে,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:১৫ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
২৫ মে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
গতকাল মঙ্গলবার (২৪ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাক্ষরিত বাণীতে বলা হয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যের এক অবিসংবাদিত প্রাণপুরুষ, বিংশ শতাব্দীর এক অগ্রণী শিল্প-শ্রষ্ঠা। শত জুলুম, অন্যায়-অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে ক্ষুরধার লেখনি দিয়ে তিনি বাংলা সাহিত্যকে করেছেন সমৃদ্ধ ও কালজয়ী। কাজী নজরুল অত্যাচার সয়েছেন ঔপনিবেশিক শাসক গোষ্ঠীর। তার জীবন ছিল দুঃসাহসিক অভিযাত্রীর ন্যায়। পারিবারিক সীমাহীন দুঃখ কষ্টের মধ্যে থেকেও নির্বাক হওয়া পর্যন্ত সাহিত্য-চর্চায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন।
তিনি ছিলেন বিস্ময়কর বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী, তার ক্ষুরধার লেখনির মধ্যে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে বিপ্লবের মন্ত্রণা সুষ্পষ্ট। তার সাহিত্যে উচ্ছ্বাস ও স্বতঃস্ফুর্ততা এক অনন্য সৌন্দর্যময়তায় বিশিষ্ট শিল্পরূপ ধারণ করেছে। তিনি যুগান্তরের কবি। তিনি বাংলা সাহিত্যে নবযুগের সূচনা করেন। সুন্দরের প্রেরণাতেই তিনি অন্যায়, অবিচার ও অসুন্দরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন। তিনি দেশের স্বাধীনতা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ঔপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলমকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে কারাগারে নির্যাতন সহ্য করতেও দ্বিধা করেননি। তার কলম সকল স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এক শাণিত অস্ত্র হয়ে থাকবে।
তিনি লিখেছেন ‘কৈরে কৈরে স্বৈরাচারী বৈরী এই বাংলার’? তার কবিতা ও গানে মানবতা ও সাম্যের বাণী উচ্চারিত হয়েছে। তিনি ছিলেন একাধারে শ্রমিক, সৈনিক, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, গীতিকার, সুরকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী নির্ভীক কণ্ঠস্বর এবং একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক যোদ্ধা। তিনিই উপমহাদেশের স্বাধীনতার প্রথম বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর। তার কবিতা ও গান আমাদের মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল এবং এখনও শোষণ-বঞ্চনা-অবিচার-অনাচার-নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রেরণা যোগায়।
এছাড়াও তার প্রকৃতি, মানবপ্রেম ও ভক্তিমূলক গান অনন্য বৈচিত্র্যময় সুর ও বাণীর সংমিশ্রণে এক অনবদ্য স্বপ্নিল পরিবেশ সৃষ্টি করে। যে গানের আবেদন চিরকালীন ও অবিনশ্বর। তার সৃষ্টিকর্ম আমাদেরকে চিরদিন স্বদেশ প্রেমে অনুপ্রাণিত করবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। আমি জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সকল কর্মসূচির সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করছি।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২৫ মে, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী। আজকের এই শুভদিনে আমি মহান কবির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি এবং তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি। কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় কবি, বাংলা সাহিত্যের এক অবিসংবাদিত কিংবদন্তী।
তিনি বলেন, পারিবারিক সীমাহীন দুঃখ দুর্দশার মধ্যেও তিনি নির্বাক হওয়া পর্যন্ত সাহিত্য-চর্চায় ব্রতী ছিলেন। কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সুরকার, সঙ্গীতজ্ঞ, সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা কাজী নজরুল ছিলেন বহুমুখী বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী। তার ক্ষুরধার লেখনিতে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে বিপ্লবের মন্ত্র উচ্চারিত হয়। বাংলা সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি দেশের স্বাধীনতা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ঔপনিবেশিক শাসক গোষ্ঠীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলমকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে কারাগারে নির্যাতন সহ্য করতেও দ্বিধা করেননি। তার কবিতা ও গানে মানবতা ও সাম্যের বাণী বিধৃত হয়েছে। তার কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার, সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ।
তাই নজরুল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী এবং একজন খাঁটি দেশ প্রেমিক। তাকে বলা হয় জাগরণের কবি এবং উপমহাদেশের স্বাধীনতার প্রথম বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর। তিনি আমাদের জাতীয় কবি, তার কবিতা ও গান আমাদের মুক্তি সংগ্রামে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। তার চল্ চল্ চল্ গানটি আমাদের জাতীয় রণসঙ্গীত হিসাবে পেয়ে আমরা গর্বিত।
আমি বিশ্বাস করি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল ছিন্ন করে দেশ থেকে অন্যায় অবিচার ও অত্যাচার নির্মূল করতে তার লেখনীর আবেদন চিরদিন নির্যাতিত মানুষকে প্রেরণা যোগাবে। পাশাপাশি সঙ্গীতে তার মানবপ্রেম, প্রকৃতিপ্রেম এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি আত্মনিবেদিত ভক্তিমূলক গানের আবেদন চিরকালীন ও চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি এই মহান কবির বিদেহী আত্মার প্রতি পুনর্বার গভীর শ্রদ্ধা জানাই।