বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা আনতে নীতিমালা হচ্ছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪৮ এএম, ২ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৫২ পিএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আয়-ব্যয়ে স্বচ্ছতা আনতে নীতিমালা করছে সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ নীতিমালার একটি খসড়াও প্রস্তুত করেছে। খসড়াটির যাচাই-বাছাই চলছে। পাশাপাশি আর্থিক দুর্নীতি, কর্মচারী নিয়োগ ও অন্যান্য দুর্নীতি রোধে শক্তিশালী হচ্ছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতর (ডিআইএ)। জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ে স্বচ্ছতার জন্য একটি নীতিমালা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে একটি খসড়াও করে ফেলেছি। কীভাবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অর্থ ব্যবস্থাপনা পরিচালিত হবে তার একটি গাইডলাইন থাকছে নীতিমালায়। পাশাপাশি আমরা পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরে জনবল কাঠামো বাড়াতে নতুন অর্গানোগ্রামের খসড়া করছি। ইতিমধ্যে কিছু কাজ শুরু হয়েছে। আমরা অনেকটা এগিয়ে গেছি।
সচিব বলেন, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতর শক্তিশালী করতেই হবে। বর্তমান অর্গানোগ্রাম যখন করা হয়েছিল তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কম ছিল। তারা (ডিআইএ) একটি অর্গানোগ্রামের ড্রাফট আমাকে শেয়ার করেছে। সম্প্রতি একটি বৈঠকও করেছি। কিছু কারেকশন রয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রায় সময় অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তদন্ত করে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু আর্থিক দুর্নীতি ও কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম কমছে না। কোনও কোনও ক্ষেত্রে বেড়ে গেছে। সে কারণে আয়-ব্যয়ে স্বচ্ছতা আনতে নীতিমালা করা হচ্ছে। পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতর শক্তিশালী করা হচ্ছে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, আমরা অনলাইনে অডিট শুরু করছি। প্রথম তথ্য অনলাইনে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চাওয়া হবে। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট ওই প্রতিষ্ঠানের তথ্য অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেও নেয়া হবে। ডিআইয়ের কর্মকর্তারা যখন পরিদর্শনে যান তখন পাশের এক প্রতিষ্ঠানের কাছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের তথ্য নেবেন। এভাবে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয় এবং শিক্ষা কার্যক্রমসহ অন্যান্য অনিয়ম দেখা হবে। এমন প্রবিশন রেখে ডিআইয়ের অর্গানোগ্রামে পরিবর্তন আনা হবে।
প্রসঙ্গত, দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন ও নিরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা বাধ্যতামূলক সরকারি নিয়ম-নীতি অনুসরণ, সরকারি অর্থের সদ্ব্যবহার এবং শিক্ষার মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে ১৯৮০ সালের ১ অক্টোবর পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতর (ডিআইএ) প্রতিষ্ঠা লাভ করে। অধিদফতরের প্রধান হচ্ছেন পরিচালক। পরিচালকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ১৩০টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির পদ ৩৫টি। এসব পদের মধ্যে পরিচালক, যুগ্ম পরিচালক, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অফিসিয়াল দায়িত্ব পালন করেন। অন্যান্য পদের মধ্যে উপ-পরিদর্শক, চার জন, পরিদর্শক ১২ জন এবং সহকারী পরিদর্শক ১২ জন। এছাড়া অডিট অফিসার রয়েছেন ৪ জন। পরিদর্শক, সহকারী পরিদর্শক ও অডিট অফিসারের পদ শূন্য রয়েছে ১০টি। এছাড়া পদোন্নতি পাওয়া ৫ জন ইনসিটু থাকায় পরিদর্শনে পাঠানো যায় না। ফলে পরিদর্শন কাজ ব্যবহৃত হচ্ছে। দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩৫ হাজারেও বেশি।