সরকারের সিদ্ধান্ত ছাড়া খুলবে না আবাসিক হল, জাবি প্রশাসন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪৮ এএম, ২১ ফেব্রুয়ারী,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:১৩ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২৪
মহামারি করোনা ভাইরাসের উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতে বন্ধ থাকা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-বেরুনী হলের তালা ভাঙেন তাঁরা। পরে একে একে সবকটি হলের তালা ভাঙা হয়। তবে তালা ভাঙ্গার পরপরই ছাত্রীদের হলগুলোতে আবার নতুন তালা লাগিয়ে দেয় সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষ।
সকাল ১০টা থেকে হল খুলে দেওয়াসহ তিন দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী জড়ো হয়। বেলা ১১টায় সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক ঘুরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
সেখানে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান তাদের দু’টি দাবি মানার ঘোষণা দিলেও রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত ছাড়া আবাসিক হল খোলা সম্ভব নয় বলে জানান।
এ ঘোষণার পর দুপুর ১২ টায় সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আবাসিক হলগুলোর দিকে যান শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অন্য দু’টি দাবি হলো- স্থানীয়দের হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খরচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বহন করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে গেরুয়ার সংযোগস্থলে স্থায়ী গেইট নির্মাণ ও হামলাকারীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা।
এর মধ্যে ক্যাম্পাসের রাস্তা ধরে মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার পথে গেরুয়ার এক যুবককে আটকায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাকে বেধড়ক মারধর ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে শিক্ষার্থীরা। পরে আহত অবস্থায় ওই যুবককে গেরুয়া এলাকায় পাঠিয়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।
এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে গেরুয়া এলাকায় শতাধিক পুলিশ টইল দিচ্ছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনেও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয়দের হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হামলার ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ১৬ মার্চ ২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে দর্শনার্থীদের প্রবেশ এবং সকল ধরনের অনুষ্ঠান ও জমায়েত নিষিদ্ধ’ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত এখনও বহাল আছে।
এমতাবস্থায় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মিছিল, জমায়েত, আবাসিক হলের তালা ভাঙ্গা সিন্ডিকেটে গৃহীত সিদ্ধান্তের পরিপন্থী।