এমপি বাদশাকে রাবিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৮ পিএম, ২৩ অক্টোবর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৩৮ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা রাবি শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী ও খুনি আখ্যা দিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করায় তাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ শনিবার (২৩ অক্টোবর) ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মানববন্ধনে ফজলে হোসেন বাদশার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে রাবি শিক্ষার্থীরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
মানববন্ধনে রাবি প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, তাকে হত্যা করে আপনারা রামেকে এনেছিলেন। আর পরিবারকে হুমকি দিয়ে কোনো পোস্টমর্টেম করাতে দেননি। আমরা হাসপাতালের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করেছি। আমরা চাই কবর থেকে ডেডবডি তুলে পোস্টমার্টেম করা হোক। শাহরিয়ারকে ডাক্তাররা মৃত অবস্থায় পেয়েছিল। তার পালস ছিল না এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে। তার মগজ হলে পড়েছিল। তাকে মৃত অবস্থায় রামেকে নিয়ে এসেছিল।
আর পুলিশকে আমরা বলতে চাই, সেই রাতে কারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছিল তাদের ভিডিও বহুজায়গায় আছে। তাদের চিহ্নিত করা হোক তারা কে? তাদের কী পরিচয়? তারা কী উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছিল? কেন ইন্টার্ন ডাক্তারদের ওপর তারা হামলা চালিয়েছে? তাদের মুখ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করা হোক হত্যাকারী কে? অন্যায়কারী কে? কেন তারা এই ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পেতেছিলো?
এবিষয়ে রাবি শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাবি শিক্ষার্থী শাহরিয়ারের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ফজলে হোসেন বাদশা এমপির বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই।
দায়িত্বশীল চেয়ারে বসে উনি সরাসরি শিক্ষার্থীদের খুনি বানিয়ে দিলেন। উনি না জেনে আমাদের ষড়যন্ত্রকারী বলেছেন। আমরা চেয়েছিলাম ময়নাতদন্ত হোক। কিন্তু শাহরিয়ারের পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার না করা হয়েছে।
উনি না জেনেই কাগজকে মাথার মগজ বলছেন। এমন উস্কানিমূলক বক্তব্যে আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা তার প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করছি। সেই সাথে উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণে যতক্ষণ পর্যন্ত ক্ষমা না চাইবেন তাকে মতিহারের সবুজ চত্বরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।
এর আগে, বুধবার রাত ৮টার দিকে রাবির শহীদ হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে শিক্ষার্থী এমজিএম শাহরিয়ার নামের এক শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত অবস্থায় রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রামেকে নেওয়ার ৩৫ মিনিট পর বিনা চিকিৎসায় আহত শাহরিয়ারকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রামেক হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডের সামনে ও পরিচালকের কক্ষের সামনে ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা। দুই পক্ষের মারামারিতে রাবির চার শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।