প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে মাউশির কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৬ পিএম, ২৫ জুলাই,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৫১ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগ।
গতকাল রবিবার (২৪ জুলাই) রাতে রাজধানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ওই কর্মকর্তার হলেন- চন্দ্র শেখর হালদার ওরফে মিল্টন। তিনি ৩১তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা। সোমবার (২৫ জুলাই) গোয়েন্দা তেজগাঁও জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. শাহাদাত হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার একাধিক ব্যক্তি জিজ্ঞাসাবাদে মাউশি কর্মকর্তা মিল্টনের নাম জানায়। এরপর তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, চলতি বছরের ১৩ই মে মাউশির ৫১৩টি পদে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরীক্ষা চলাকালে ইডেন কলেজ কেন্দ্র থেকে থেকে প্রশ্নপত্রের উত্তরসহ চাকরিপ্রার্থী সুমন জোয়ার্দার নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার প্রবেশপত্রের উল্টো পিঠে ৭০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর লেখা ছিল।
পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুমন ও সাইফুলকে একদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা পরীক্ষার আগেই প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি স্বীকার করে।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১৪ই মে পটুয়াখালী সরকারি কলেজের প্রভাষক রাশেদুল, মাউশির উচ্চমান সহকারী আহসান হাবীব ও অফিস সহকারী নওশাদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই ঘটনার এক সপ্তাহ পরে সেই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে মাউশি।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রটি মাউশি কর্মকর্তা মিল্টন ফাঁস করেছিলেন। তিনি ওই নিয়োগ পরীক্ষার ইডেন কলেজ কেন্দ্র সমন্বয় করার দায়িত্বে ছিলেন। মাউশি কার্যালয় থেকে প্রশ্ন নিয়ে কেন্দ্রে যাওয়ার সময় তিনি প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সাইফুলের কাছে পাঠিয়েছিলেন।