জবি উপাচার্য অবারুদ্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩৫ এএম, ৮ জুন,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৪৪ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক কর্মচারীরা চাকরী স্থায়ী করার জন্য অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। তাদের দাবি একটাই, চাকরী স্থায়ী চাই। এই এক দাবি নিয়েই কাজ ফেলে তারা অটুট অবস্থানে রয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (৭ জুন) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা প্রথমে রেজিস্ট্রারের কক্ষে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে রেজিস্ট্রার বেরিয়ে এলে তার পিছন পিছন এসে উপাচার্যের কক্ষের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
তাদের দাবি, দীর্ঘদিন যাবত আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করে যাচ্ছি। ১০ থেকে ১২ বছর আমরা দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক আছি। দৈনিক ৬০০ টাকায় আমরা পরিবার সন্তান নিয়ে সংসার চালাতে পারি না। আমাদের নিয়োগ হচ্ছে না। আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। আমাদের দাবি একটাই চাকরি স্থায়ীকরণ চাই। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এডহক বা স্থায়ী করার অনেক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হয়। ঢাকার মধ্যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো নিয়োগ হয় না। এখানে অনেকের বয়স ও শেষ হয়ে যাচ্ছে। এমনকি সার্টিফিকেট এর বয়স ও শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমরা এর সুরাহা চাই।
তারা আরও বলেন, চুক্তি ভিত্তিক বাস চালক ও হেলপাররা বেতন ছাড়া কোনো বোনাস ভাতা পায় না। এমনকি কোনো উৎসব বা ঈদেও কোনো প্রকার ভাতা পাই নাই। এমনকি পরিবহনের টেকনিশিয়ান হেল্পাররা হাজিরা ভিত্তিক কাজ করছে। অর্গান অনুসারে আমাদের পদ কম কিন্তু ইউজিসি দিচ্ছে না।
এসময় রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল তাদের দাবিগুলো লিখে জমা দিতে বলেন এবং উপাচার্যের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত জানানোর আশ্বাস দেন।
রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, আমরাও চাই তাদের চাকরিগুলো স্থায়ী হোক। তারা আমার কাছে চাকরি স্থায়ীর দাবি নিয়ে এসেছে। আমি উপাচার্যের সাথে কথা বলে তাদের জানাবো।
তিনি আরও বলেন, আমরা এর আগেও ইউজিসির কাছে চিঠি পাঠিয়ে আসছি। এবার প্রায় আড়াই শতাধিক পদের জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য মাত্র ১০ টি পদ পেয়েছি। এটি মজার খোরাক ছাড়া আর কিছুই নয়।