ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি থিসিসে চৌর্যবৃত্তি, ট্রাইব্যুনাল গঠন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৮ পিএম, ২৯ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ১০:৪৮ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম লুৎফুল কবিরের পিএইচডি গবেষণা অভিসন্দর্ভে (থিসিস) চৌর্যবৃত্তির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির দায়ে শাস্তি নির্ধারণের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট এ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিন্ডিকেট সদস্য জানান, ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম লুৎফুল কবিরের পিএইচডি অভিসন্দর্ভে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ ওঠার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে চৌর্যবৃত্তির প্রমাণ মিলেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে শাস্তি নিরূপণের জন্য আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল যাচাই-বাচাই করে শাস্তি নির্ধারণ করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নব প্রতিষ্ঠিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সেন্টার ফর জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ-এর গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়েছে।
এছাড়া, সভায় একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ জন গবেষককে পিএইচডি এবং ১৭ জন গবেষককে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভায় সভাপতিত্ব করেন।