সাবেক (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা কর্মকর্তার আরো ১০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেল তদন্ত কমিটি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৯ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:০৮ পিএম, ১৬ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিসের সাবেক (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম আঃ ছালাম ও ইউডিএ মোঃ আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে ৯ সেপ্টেম্বরের তদন্তে আরও প্রায় ১০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, আবু তালেব ওরফে শাহ আলম সরকারের সুনিদিষ্ট কয়েকটি অভিযোগে গত ৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার পলাশবাড়ী শিক্ষা অফিসের অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত করেন গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হোসেন আলী। তদন্তে সহযোগিতা করেন পলাশবাড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাজমা বেগম।
এসময় অভিযুক্ত ইউডিএ মোঃ আব্বাস আলী (কথিত বড় বাবু), সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ বাদী আবু তালেব, সাংবাদিক মোঃ ফেরদাউছ মিয়া, রবিউল ইসলাম ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন।
তদন্তে সাবেক (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা অফিসার আলহাজ্জ্ব একেএম আঃ ছালাম ও অত্র অফিসের ইউডিএ মোঃ আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে বিল ভাউচার ছাড়াই ৬টি বিদ্যালয়ের বিপরীতে দেড় লক্ষ করে টাকা বরাদ্দ দেখিয়ে আরও সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা আত্মসাতের প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ পেয়েছেন তদন্ত কমিটি। এছাড়া অন্য অভিযোগ গুলো খতিয়ে দেখছেন বলে জানা যায়।
এব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ হোসেন আলী জানান, আত্মসাতের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে অধিকতর তদন্তের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
উল্লেখ্যঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার সাবেক (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম আঃ ছালামের বিরুদ্ধে অত্র অফিসের ইউডিএ (কথিত বড় বাবু) মোঃ আব্বাস আলী ও সাবেক হিসাব সহকারী আশাদুল ইসলামের সহযোগিতায় গত-২০১৯-২০ অর্থ বছরে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের সুনিদিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ ও পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মোঃ ফেরদাউছ মিয়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসহ একাধিক দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগের ফলে মহাপরিচালকের নির্দেশে পরিচালক প্রশাসন মোঃ মিজানুর রহমানের তত্বাবধানে উপ-পরিচালক (তদন্ত) মির্জা মোঃ হাসান খসরুর নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে সাবেক (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা অফিসার আঃ ছালাম আত্মসাতকৃত টাকার মধ্য হতে তদন্তের আগের দিন ২৩ ডিসেম্বর-২০২০ ইং তারিখে তড়িঘড়ি করে ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে ৯,৩০,২৫০/(নয় লক্ষ ত্রিশ হাজার দুই শত পঞ্চাশ) টাকা সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান করেন।
এদিকে মির্জা মোঃ হাসান খসরুর নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি গত ২৪ ডিসেম্বর-২০২০ ইং পলাশবাড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ গুলোর তদন্ত করেন। তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে মহাপরিচালক বরাবর তদন্ত রিপোট পেশ করলে, মহাপরিচালক প্রধান শিক্ষকদের টিএ বিল বাবদ প্রায় ৪ লক্ষ টাকা আত্মসাতে শিক্ষা অফিসারকে সহযোগিতা করায় হিসাব সহকারী মোঃ আশাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ও শিক্ষা অফিসার একেএম আঃ ছালামকে সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলায় শাস্তিমূলক বদলী করা হয়েছে। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্র প্রকাশ, ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও মন্ত্রণালয়ে বিভাগীয় মামলা দিয়েছে।