পত্নীতলায় অ্যাসাইনমেন্ট বিতরণে গুরুতর অনিয়ম, শোকজ হলেন প্রধান শিক্ষক!
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১৭ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৪৩ এএম, ১৭ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
নওগাঁর পত্নীতলায় শিক্ষার্থীদের মাঝে অ্যাসাইনমেন্ট (প্রশ্নোত্তরপত্র) বিতরণে ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত সাপেক্ষে শোকজ করা হয়েছে উপজেলার নাগরগোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে।
চলমান করোনার কারণে দেশের সকল স্কুল-কলেজ বন্ধ আছে। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক চর্চা-কে ধরে রাখতে ওয়ার্কশীট (প্রশ্নোত্তর পত্র) এর মাধ্যমে মূল্যায়নের ব্যবস্থা করবার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষা অধিদপ্তর।
নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রত্যেক সপ্তাহে অ্যাসাইনমেন্ট দেবার কথা থাকলেও ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অফির উদ্দীন শিক্ষা দপ্তরের সেই নিয়মকে তোয়াক্কা না করে নিজের তৈরি করা নিয়মে চালাচ্ছেন স্কুল। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আগের অনেক অভিযোগ রয়েছে এবং শোকজ হবার মতো ঘটনাও ঘটেছিল তখন।
গত শনিবার বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে যাবার তারিখ অব্দি শিক্ষার্থীদের মাঝে কোন ফি ছাড়াই মোট ১৬ টি অ্যাসাইনমেন্ট দেবার কথা থাকলেও তার যথাযথ পালন করেনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে করে বিদ্যালয়টির কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা চর্চা পড়েছে ব্যাপক হুমকির মুখে। এ নিয়ে চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকগণ।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও একাধিক অভিভাবক জানান, এ পর্যন্ত শিক্ষকরা আমাদের সন্তানদের হাতে বড়জোর ৬ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট দিয়েছেন। এরপর আমাদের বাচ্চাদের কাছে আর কোন ওয়ার্কশীট দেওয়া হয়নি। ওয়ার্কশীট নিজ খরচে ফটোকপি করে সংগ্রহ করতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ জানান তারা।
নাগরগোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অফির উদ্দীন বলেন, করোনার কারণে ওয়ার্কশীট বিতরণে একটু অনিয়ম হয়েছে। এসময় শোকজ হবার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি স্থানীয় সংবাদকর্মিদের মিডিয়াতে সংবাদ প্রকাশ না করার ইঙ্গিতে ম্যানেজ করার চেষ্টা চালান।
পত্নীতলা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোখলেছুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছি। উপযুক্ত সদুত্তর না পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নওগাঁ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিক মোঃ ইউসুফ রেজা জানান, এই বিষয়টি আমার জানা ছিলো না আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।
রাজশাহী বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ডিডি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, শোকজ হবার বিষয়টি জেনে সেই প্রধান শিক্ষক শোকজের কি উত্তর দেন সে বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট খোঁজ নেবো। সরকারি নিয়মের বাইরে কিছু হলে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।