নোয়াখালীতে কাদের মির্জার ৯ অনুসারী গুলিবিদ্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৩ পিএম, ৩০ মে,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৫১ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় প্রতিপক্ষের গুলিতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ৯ অনুসারী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ তারই ভাগ্নে মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু। তবে হামলার বিষয় অস্বীকার করে তিনি বলেন, তারা নিজেরাই মিছিল করতে এসে সংঘর্ষে তাদের গুলিতে আহত হয়েছে।
গতকাল শনিবার (২৯ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৮টায় বসুরহাট পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। সবাই ছররা গুলিতে আহত হয়েছেন।
তাদেরকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আনার পর সবাইকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
হাসপাতালের চিকিৎসক আবু নাছের জানান, ছররা গুলিতে আহত ৮জনকে জরুরী বিভাগ থেকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আহতরা হলেন পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন (৪৭), ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ জিসান (২৩), মো. সবুজ (৪০), রুহুল আমিন সানি (৩০), দেলোয়ার হোসেন (২৮), পৌরসভা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দেলোয়ার হোসেন সুমন (২৭), চরকাঁকড়ার দিদার (৩৫), মাঈন উদ্দিন কাঞ্চন (৪২), সওশাদ (৩৫)। আহতরা সকলে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী।
পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম বকুল জানান, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপাড়া, আদর্শাড়া ও শান্তিপাড়া থেকে কাদের মির্জার অনুসারীরা একত্রিত হয়ে পৌরসভায় যাওয়ার জন্য জড়ো হচ্ছিলেন। প্রতিপক্ষ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশিদ মঞ্জুর সমর্থকরা বেপরোয়া গুলি করে তাদের লোকজনকে আহত করেন।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগ্নে মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার কোনো লোক বাসা থেকে বাইরে যায় নাই। কাদের মির্জার লোকজন মিছিল করতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে শুনেছি।’
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাদের মির্জার অনুসারীদের মিছিল করতে চাইলে প্রতিপক্ষরা গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা রাত ৯টায় পৌরসভা নিজ কার্যালয় থেকে তার অনুসারী স্বপন মাহমুদের আইডি থেকে লাইভে এসে এএসপি শামীম, ইউএনও জিয়া, ওসি রনি ও এসিল্যান্ড সুভাতকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।