খালেদা জিয়ার ফুসফুসে এখনও পাইপ রয়েছে : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪০ এএম, ২৪ মে,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৪৬ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২৪
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ রবিবার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
শনিবার বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওই বৈঠকের বিষয়টি তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, স্থায়ী কমিটির সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আমি অবগত করি। বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা একই রকম আছে স্থিতিশীল, তিনি সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সিসিইউ থেকে বের হতে পারছেন না। চিকিৎসকরা অ্যালাউ করছেন না। তার ফুসফুসে এখনও পাইপ রয়েছে।
বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘ইজরাইল ব্যতীত’ কথাটি বাদ দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মির্জা ফখলরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, যেটা আমাদের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত বলা যেতে পারে যে, কনসেনসাস জনগণের, সব সরকারের যে, ইসরাইল আমাদের শত্রু, পৃথিবীর শত্রু। কারণ তারা মানবাধিকারকে ধ্বংস করছে। অনেকে বলেন যে, প্যালেস্টাইন ইসলামী রাষ্ট্র সেই সমর্থনে। নো। আমরা ফিলিস্তিনকে সমর্থন করি, সকলে করে যে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র এবং তার মানুষগুলো মানুষ। বিশেষ করে শিশুরা। প্রায় ১শ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে গত কয়েকদিনে। আপনাদের মনে আছে কয়েকবছর আগে প্রায় তিন লক্ষ শিশুকে হত্যা করা হয়েছিলো। ইজরাইল আসলে মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা পৃথিবীর জন্য এখন একটা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ সরকার কেনো এই নতুন করে প্রেম করতে যাচ্ছে ইজরাইলের সঙ্গে? এর কারণ হিসেবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি একটা যোগসূত্র দেই আপনাদের (সাংবাদিক)। কয়েকদিন আগে আল-জাজিরাতে একটা রিপোর্ট হয়েছিলো। সেই রিপোর্টে এসেছিলো যে, একটা বিশেষ সার্ভিলেন্সের যে ডিভাইস বা যন্ত্র, এই যন্ত্র অরিজিনালি ইজরাইল থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। সেজন্য এখন জনগণের মাঝে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে তাহলে কি ইজরাইলের সঙ্গে সরকার আবারো ওই ধরনের কোনো চুক্তি করতে যাচ্ছে বা কিছু করতে যাচ্ছে। আমরা সবাই জানি যে, ইজরাইল কিন্তু গোয়েন্দাবৃত্তিতে পৃথিবীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ। ওটা করে কিন্তু সে এখনো মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ হয়ে আছে। সুতরাং এই বিষয়গুলো জনগণ অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে, দেখছে, লক্ষ্য করছে যে, কোন দিকে যাচ্ছি আমরা? অলরেডি তো গেছি। অন্ধকার মধ্যযুগীয় বর্বরতার দিকে যেখানে মানুষের ন্যূনতম অধিকারটুকু থাকবে না।
ইজরাইলের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ইজরাইলের সাথে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নাই। ইজরাইলের বিরোধী অবস্থান আমাদের। আমরা স্ট্রেটকাট বলতে চাই- আমরা বরাবরই ছিলাম, আমরা এখনো আছি। বিএনপি খুব স্পষ্টভাবে বলতে চায়, ইজরাইলের এই যে মানবতাবিরোধী বর্বরোচিত হামলা, মধ্যপ্রাচ্যে যে অশান্তি সৃষ্টি করা এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে যে একেবারে ধ্বংস করে ফেলা এর মূলে হচ্ছে ইজরাইল। আন্তর্জাতিক বিশ্বের উচিত সেই ইজরাইলকে সম্পূর্ণভাবে বিরত করা এবং ফিলিস্তিনিদের যে স্বাধিকার ও স্বাধীন রাষ্ট্রের যে অধিকার তাকে নিশ্চিত করা।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ওবায়দুল কাদের গতকাল বলেছেন, বিএনপি গণমাধ্যমের বন্ধু সেজে সাংবাদিকদের উস্কানি দিচ্ছে। এটা একেবারেই একটি মনগড়া এবং নিজেদের অপরাধগুলোকে ঢাকার জন্য একটি মন্তব্য আরকি। আওয়ামী লীগের সাংবাদিকতা, মুক্ত স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের প্রতি আচরণ-ব্যবহার-এটা দেশের সকল মানুষ জানে। ১৯৭৫ সালে দেশে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো। সেই বাকশাল প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই সমস্ত পত্রিকা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিলো। মাত্র চারটা পত্রিকা চলবে বলা হয়েছিলো, সেই চারটা পত্রিকা তাদের নিজস্ব পত্রিকা। তাতে অসংখ্য সাংবাদিক কিন্তু বেকার হয়ে গিয়েছিলেন, তারা কর্মচ্যুত হয়েছিলেন। সাগর-রুনিকে হত্যার ৯ বছর পার হলেও হত্যাকারীদের এখনো সরকার ‘খুঁজে’ পায়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সরকার আমলা নির্ভর বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, সব সময় ওনারা (সরকারের মন্ত্রীরা) দুঃস্বপ্ন দেখে। প্রতিদিন, প্রতিরাতে বিএনপি বিএনপি বিএনপি দেখতেই থাকে ও সব খানে ষড়যন্ত্র দেখতে থাকে। এতো ভয় কেন রে ভাই। কারণ আপনাদের পায়ের তলায় মাটি নেই, আপনাদের পেছনে মানুষের কোনো শক্তি নেই। আপনারা এখন আমলাতন্ত্র নির্ভর হয়েছেন। আপনারা এখন সামরিক-বেসামরিক আমলা নিয়ে দেশ চালাচ্ছেন। অপরাধ একটাই কেনো সবাই তাদের তোষামোদী করছে না, কেনো তাদের উচ্ছিষ্টভোগী কয়েকজন আছেন তাদের সুরে একই সঙ্গে কথা বলছে না কেনো। সবাই তো একরকম নন। দেশপ্রেম আছে, ভালোবাসা আছে, নীতিবোধ আছে, তারা তো নিশ্চয়ই কথা বলবেন। তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন। সেজন্য এই সাংবাদিক ভাইয়েরা-বোনেরা যারা আজকে কথা বলেন তাদের ওপর বিপর্যয়, হুমকি। আমরা পরিষ্কার করে বলছি এভাবে কোনদিনই কেউ টিকে থাকতে পারবে না। হ্যাঁ সময় নেবে। অবশ্যই তাদেরকে বিদায় নিতে হবে।
সভায় নিম্নে বর্ণিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয় :
১। সভায় বিগত ৮ মে অনুষ্ঠিত জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ পঠিত ও অনুমোদিত হয়।
২। সভায় দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সদস্যগণকে অবহিত করেন মহাসচিব। সভায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পরিপূর্ণ রোগমুক্তির জন্য দোয়া করা হয়।
৩। স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তক, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাতবাষির্কীর কর্মসূচি সম্পর্কে বিশদ আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
(ক) ৩০মে সকাল ৬টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশের মহানগর, জেলা, উপজেলার বিএনপি সকল কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং কালো পতাকা উত্তোলন।
(খ) ১১টায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে ফাতেহা পাঠ ও শ্রদ্ধা নিবেদন।
(গ) ২৯ মে বিকাল ৩.৩০ মি: শহীদ জিয়ার জীবনের ওপর কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ভার্চুয়াল আলোচনা। মহানগর, জেলা ও উপজেলা সংযুক্ত হবে।
(ঘ) ৩০ মে মহানগর, জেলা, উপজেলা ও পৌর কমিটিগুলো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে এবং দুঃস্থ মানুষের মাঝে স্বাস্থ্য বিধি মেনে খাদ্য সামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ করা হবে।
সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন তাদের সুবিধা অনুযায়ী শহীদ প্রেসিডন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবাষির্কী উপলক্ষে কর্মসূচি গ্রহণ করে বিএনপি কার্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে। মহানগর জেলা পর্যায়ে কর্মসূচীগুলোতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ব্যক্তিগতভাবে অথবা ভার্চুয়ালী সংযুক্ত হবেন।
৪। সভায় অনির্বাচিত আওয়ামী সরকারের দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে বেআইনিভাবে ৫ ঘন্টা আটক ও শারীরিক, মানসিকভাবে নির্যাতন এবং তথ্য চুরির মামলা দিয়ে গ্রেফতার এবং জামিন না দেয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সভা মনে করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকতাদের অবিলম্বে বরখাস্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত। আওয়ামী লীগ অতীত ঐতিহ্য অনুযায়ী আওয়ামী লীগ গণমাধ্যম বিরোধী। ১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে সকল পত্রিকা বন্ধ করে বাক স্বাধীনতা, লেখার স্বাধীনতা হরণ করেছিলো। সেই সময়ে পত্রিকা বন্ধ হওয়ার কারণে অসংখ্য সংবাদকর্মী বেকার হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরে দৈনিক বাংলা, বাংলাদেশ টাইমস, আমার দেশসহ অনেকগুলো পত্রিকা, চ্যানেল ওয়ান, ইসলামিক টিভি, দিগন্ত টেলিভিশনসহ অনেক চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে। ত্রাস ও ভীতির সন্ত্রাস তৈরি করে সত্য প্রকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে। প্রকৃতপক্ষে, গণমাধ্যমকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছে। মাহমুদুর রহমান, শফিক রেহমান, আবদুস সালাম, কনক সারওয়ার, মুনির হায়দার, ওলিউল্লাহ নোমানসহ অনেক বরেণ্য সাংবাদিক নির্যাতিত হয়ে কারা ভোগ করেছেন। দেশ থেকে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। সম্পাদক আসাদ, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমীন গাজীসহ অনেক সাংবাদিক মিথ্যা মামলায় এখনও কারাগারে। ১৯৭৫ সালে বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ গণমাধ্যমকে শৃঙ্খলিত করেছিলো- একইভাবে মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার, খুন, গুমের সাগর রুনিসহ প্রায় ৪২ জন সাংবাদিক হত্যা এই সরকারের মুক্ত সাংবাদিকতা বিরোধী ফ্যাসিস্ট চরিত্র উন্মোচিত করেছে। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকেই এই সন্ত্রাসী কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে বলে মনে করা হয়। সরকারের তথ্যমন্ত্রী গোয়েবলসীয় কায়দায় আবারও মিথ্যাচার করছে এবং চিরাচরিতভাবে কল্পিত ষড়যন্ত্রের কাহিনী প্রচার ও হুমকি প্রদান অব্যাহত রেখেছে।
সভা স্মরণ করিয়ে দেয় যে, ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ সকল পত্রিকা বন্ধ করে বাক স্বাধীনতা হরণ করেছিলো। অন্যদিকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সকল পত্রিকা চালু করে কথা বলার স্বাধীনতা ও লেখার স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করেছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা আরও বিকশিত হয়েছিলো বিবিসি, সিএনএনসহ আন্তর্জাতিক চ্যানেলগুলো অনুমোদন পেয়েছিলো।
অফিশিয়াল সিক্রেটস এ্যাক্ট ১৯২৩-এর প্রয়োগ, ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্টের মত নিবর্তনমূলক আইন প্রণয়ন মুক্ত সংবাদিকতাকে ধ্বংস করছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সংকুচিত করেছে। অবিলম্বে সকল প্রকার কালো আইন বাতিলের দাবি জানানো হয় এবং সম্পাদক আসাদ, রুহুল আমিন গাজী ও রোজিনা ইসলামসহ সকল আটক সাংবাদিকের মুক্তির দাবি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল বিভক্তি ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য সাংবাদিকদের আহ্বান জানানো হয়।
৫। কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের টিকা সংগ্রহে সরকার শুরু হতেই দুর্নীতি, অযোগ্যতার কারণে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে চুক্তিকৃত টিকা না পাওয়ায় এবং অন্যান্য উৎসগুলোর সঙ্গে চুক্তি না করায় টিকাপ্রাপ্তি একেবারেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জনগণের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ছে। রাশিয়াা ও চীন থেকে টিকাপ্রাপ্তিও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিলম্ব ও অযোগ্যতার কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। খোদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এর জন্য দায়ী করেছেন। আমরা করোনা আক্রমণের শুরু থেকেই বিকল্প উৎস সন্ধান এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছিলাম। ভারতের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহভাবে খারাপ হওয়া এবং ব্লাক ফাংগাস রোগের মহামারি আকার ধারণ করায় জনগণের মধ্যে প্রচন্ড হতাশা ও ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে এই বিষয়গুলোর বিস্তারিত ব্যাখ্যা এবং টিকাপ্রাপ্তির রোডম্যাপ জনগণের সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানাচ্ছি। সংক্রমণ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার ব্যবস্থায় ব্যর্থতায় সরকারের এখনই পদত্যাগ করা উচিত। টিকা প্রাপ্তি সংক্রান্ত বিষয়টির সকল দায় সরকারকেই নিতে হবে।
৬। জেরুজালেম ও গাজায় ইসরাইলি বিমান আক্রমণে শত শত নারী-পুরুষ ও শিশু হত্যার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করে তীব্র নিন্দা জানানো হয়। বিএনপি ইতিমধ্যেই ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের নিকট ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্টকে পত্র পাঠিয়েছে এবং আবারও দুই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নীতিকে সমর্থন জানাচ্ছে।
৭। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙ্গে পড়ায় এবং এই নির্বাচন কমিশনের অযোগ্যতা ও প্রতিটি নির্বাচনে সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপের কারণে আগামীতে লক্ষ্মীপুর-২, সিলেট-৩, ঢাকা-১৪ কুমিল্লা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
৮। সভায় করোনায় মৃত্যুবরণকারী অসচ্ছল পরিবারগুলোকে এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতনে গুম ও খুন হওয়া পরিবারগুলোকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ঈদের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেয়ায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
৯। সভা শেষে সদস্যবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভাপতি সভা মুলতবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, জলবায়ু বিষয়ক সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, বিএনপি নেতা মহানগর মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, কাজী আবুল বাশার, আবদুল আলিম নকি, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন প্রমুখ।