আমেরিকার নির্বাচন থেকে শুধু ইসি নয় বিরোধী দলেরও শেখার আছে-ওবায়দুল কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৭ এএম, ২১ নভেম্বর,শনিবার,২০২০ | আপডেট: ০২:০৯ পিএম, ২২ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২৪
আমেরিকার নির্বাচন থেকে শুধু নির্বাচন কমিশন নয়, বিরোধী দলেরও অনেক কিছু শেখার আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ শুক্রবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার আওতায় এই কমিশন কাজ করছে। তারা ফলো করবে নিজস্ব বিধিবিধান, অন্য দেশে কী হলো তা নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের অবস্থা এমন হয়েছে যে, নির্বাচনে বিএনপিকে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জয়লাভের গ্যারান্টি দিতে হবে। বিএনপিকে জয়ী করাই যেন নির্বাচন কমিশনের মূল দায়িত্ব হবে! বিএনপি পরাজিত হলে দায় চাপায় সরকার, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর। আর জয়ী হলে বলে সরকার হস্তক্ষেপ না করলে আরও বেশি ভোটে জিততে পারতো। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে আর কোনো নির্বাচন তারা (বিএনপি) করবে না, এমনও বলেছিল। পরবর্তীতে তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। তারা নির্বাচনে এসেছেন। নির্বাচনে এসে তারা আগের দিন পর্যন্ত হইচই করে থাকেন। নির্বাচনের দিন এজেন্ট পর্যন্ত দিতে পারেন না। পরে তাদের এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়েছে বলে দোষ দেন তারা। কোথায় কোন এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়েছে সেটা বলতে পারে না, শুধু অন্ধকারে ঢিল ছোড়ে বারবার। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকারের কাছে অপরাধীর পরিচয় অপরাধীই। দলীয় পরিচয় কোনো অপরাধীর আত্মরক্ষার ঢাল হতে পারে না। এ দেশের রাজনীতিতে দুটি ধারা প্রবহমান। একদিকে একাত্তরের অবিনাশী চেতনা, অপরদিকে সাতচল্লিশের চেতনা। একদিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির ধারা এগিয়ে যাওয়ার শক্তি, অপরদিকে সাম্প্রদায়িকতার মাধ্যমে দেশকে পিছিয়ে দেয়ার চিন্তা। একদিকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রজন্ম তৈরির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রত্যয়, অপরদিকে মিথ্যাচার নেতিবাচকতা আর পশ্চাৎপদতার সংস্কৃতি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা রাজনীতিতে আজকে নিজেদের ক্রমেই অপ্রাসঙ্গিক করে তুলছে, তারা নির্বাচন গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে। অথচ এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের দাবি তারা রাতের বেলায় কারফিউ জারি করা। হ্যাঁ বা না ভোটের সেই গণতন্ত্রের ছবি এদেশের মানুষ দেখেছে। আজকে তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না, যারা গণতন্ত্রের নামে স্বৈরাচার কায়েম করেছিল।