খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে দেশবাসী উদ্বিগ্ন- মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৪ এএম, ২২ মে,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৫১ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই ফ্যাসিস্ট সরকারের অন্যায়ের কারণে আজ দীর্ঘ তিন বছর কারারুদ্ধ হয়ে আছেন। তিনি এখন অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আমি গত বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে গিয়েছিলাম।
আপনারা জানেন বেগম জিয়া করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে অনেকগুলো জটিলতা দেখা দেয় এবং শ্বাসকষ্ট যখন বেশি হয় তখন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা সম্পূর্ণ আন্তরিকতার সঙ্গে তাঁর চিকিৎসা করছেন। প্রতিদিন মেডিকেল টিম বসে তারা মনিটরিং করে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে দেশবাসী সবাই উদ্বিগ্ন। দেশবাসী সবাই তাঁকে অত্যন্ত ভালোবাসেন। দেশবাসী বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ আশ্রয়স্থল মনে করেন। তারা মনে করেন, বেগম জিয়ার মাধ্যমে আমাদের দেশের স্বাধীনতাকে আমরা রক্ষা করতে পারবো। দেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারবো।
গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, নারী নেত্রী নিপুণ রায় চৌধুরীসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা দীর্ঘ ৫০ বছরের বেশি সময় আগে থেকে এদেশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছি। পরবর্তীতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে, জীবন দিয়েছে। কিন্তু আমাদের সেসব অর্জন এই দানব সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের লক্ষ্যটাই হচ্ছে বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দেয়া, এটা তাদের লক্ষ্য। আপনারা লক্ষ্য করে দেখেন ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর ঠিক একই কায়দায় একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করেছিল। আমার কষ্ট হয়, দুঃখ হয় যে, আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরা ওই সময়টার কথা বলতেই চান না। কেনো? এই দেশের সমস্ত পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল কে? এই দেশের সাংবাদিকরা কখন ফুটপাতে গিয়ে হকারি করেছেন? আপনাদের সেটা বলতে হবে। তিনি আরো বলেন, ’৭২-৭৫ এর সেই সময় প্রায় ৩০ হাজার তরুণ যুবককে হত্যা করা হয়েছিল। এটা বাস্তবতা।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার ’৭২-৭৫ এর মতোই একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করছে। তবে একটু অন্যভাবে। তারা দেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই যে আজকে রোজিনা ইসলাম; তার এই ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আমরা দেখতে পেয়েছি সাগর-রুনি হত্যার এখন পর্যন্ত কোনো বিচার হয়নি। এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, আজকে আমলারা সরকারদলীয় নেতা হয়ে গেছেন।
তিনি আরো অভিযোগ করেন যে, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী নিপুণ রায়কে একটা মিথ্যা অডিও রেকর্ড দিয়ে ফাঁসিয়ে মামলা দেয়া হয়েছে। তিনি সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায়সহ সকল রাজবন্দির মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারপূর্বক নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
মহিলা দলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, সাবেক সংসদ সদস্য নিলোফার চৌধুরী মনি, সাংবাদিক নেতা আবদুল হাই শিকদার, কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ।