বাস পোড়ানোর মামলায় বিএনপির ১২০ নেতাকর্মীর জামিন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩৭ এএম, ১৯ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২০ | আপডেট: ০২:০৮ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচন চলাকালে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ১২০ নেতাকর্মীকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাদেরকে আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত জামিন দেয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (১৮ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মো. রিয়াজউদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে তাদের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
আদালতে আজ জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও ব্যারিস্টার মো. মীর হেলাল।
জামিনের বিষয়ে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের বলেন, গত ১২ নভেম্বর ঢাকা-১৮ আসানের উপনির্বাচনের দিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বাস পোড়ানোর ঘটনায় গতকাল সকালে ১৩টি মামলায় আগাম জামিন নিতে হাইকোর্টে আসেন বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী। পরে আদালত তাদের জামিন দেন। সেই সঙ্গে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিননামা দাখিল করতে বলা হয়েছে। এর আগে গত ১৫ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসব নেতার পক্ষে জামিন আবেদন করেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। হাইকোর্টের কাছে আগাম জামিন চেয়েছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল এবং ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন পর্যায়ের ১২০ নেতাকর্মী।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বিএনপির ৩৮ জ্যেষ্ঠ নেতাসহ প্রায় সাত শতাধিক কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এসব মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের একজন ইশরাক হোসেন, যিনি আইসোলোশনে আছেন। অথচ তাকে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় আসামি করা হয়েছে। অপর আরেকজন হলেন প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি উত্তরায় নির্বাচনি কাজে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। অথচ তাকে খিলক্ষেত থানায় প্রধান আসামি করা হয়েছে। গত ১২ নভেম্বর ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচন চলাকলে বিকেলে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মোট ১৩টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ৭০০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।