সরকার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অমানবিক আচরণ করছে - মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৭ এএম, ১৭ মে,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১২:১৬ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অমানবিক আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এ সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অমানবিক আচরণ করছে। তিনি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হয় তাঁকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করার জন্য। কিন্তু সরকার আইনের দোহাই দিয়ে তাঁকে বিদেশে নিতে বাধা প্রদান করছে। ফলে অবস্থা এখন অত্যন্ত নাজুক। তাঁর চিকিৎসকরা পরিপূর্ণ চিকিৎসা তাঁকে দিতে পারছেন না বলে তারা মনে করছেন।
আজ রবিবার ঠাকুরগাঁও জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ আইন ও আদালতকে তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান যেটি সংবিধানের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল সেটি বাতিল করে দিয়েছেন আদালত। সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক সাহেব এ রায় দেন। সেই সঙ্গে রায়ে ঘোষণা করা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান এখন আর প্রয়োজন নেই। প্রয়োজনে জাতীয় সংসদে নতুন করে উত্থাপন করা যেতে পারে। বর্তমান সরকার সেই বিষয় নিয়ে সংসদীয় জাতীয় কমিটি গঠন করে। শতভাগ রাজনৈতিক দল মতামত দেয় দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাখা দরকার। কিন্তু একদিনের মধ্যে সরকার সেটিকে বাতিল করে দিয়ে দলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচনের বিল আনে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তৈরি করে মুক্তমনা সাংবাদিক ও লেখকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। এ আইনের আওতায় ৭ বছরের বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত কেউ রেহায় পাচ্ছে না। প্রখ্যাত সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী দীর্ঘ ২ বছর যাবত কারাভোগ করছেন।
অ্যাডভোকেট বদিউজ্জামান চৌধুরী বাদলের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. আব্দুল হালিম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ইন্তাজুল হক, জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান তুহিন প্রমুখ।