মানুষের ভালোবাসায় শেখ হাসিনা চারবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় - কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৫ এএম, ১৭ মে,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৩৭ পিএম, ১৪ অক্টোবর,সোমবার,২০২৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অথচ যেসব দেশে অশান্তি বিরাজ করছে, সেসব দেশের নেতারা নোবেল পেয়েছেন বলে আক্ষেপও করেছেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে একটা স্বীকৃতি শেখ হাসিনার প্রাপ্য ছিল। নোবেল পুরস্কার প্রাপ্য ছিল শেখ হাসিনার। অথচ দুঃখ লাগে, নোবেল শান্তি পুরস্কার চলে যাচ্ছে অশান্তির দেশে। এমন দেশে নোবেল যাচ্ছে যেখানে যুদ্ধবিগ্রহ লেগে আছে, গণহত্যা আছে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের ভালোবাসায় শেখ হাসিনা টানা তৃতীয়বারসহ মোট চারবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা রাজনীতিকের সীমানা পেরিয়ে রাষ্ট্রনায়কে রূপান্তর হয়েছেন। সংগ্রামী নেতা থেকে তিনি আজ কালজয়ী রাষ্ট্রনায়ক।
আজ রবিবার দলটির তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির উদ্যোগে ‘শেখ হাসিনার চারদশক : বদলে যাওয়া বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
শেখ হাসিনা একজন সংগ্রামী নেতা থেকে এখন জনপ্রিয় রাজনৈতিক ও উন্নয়নের নেতা হিসেবে পরিণত হয়েছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার জন্যই জাতি আজ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পেরেছে। শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হয়েছে, তাই বাংলাদেশ পাপমুক্ত ও কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব আছে বলেই বাংলাদেশ আজ সীমান্ত ও ছিটমহল সমস্যার সমাধান এবং সমুদ্রসীমা জয়লাভ করেছে। গঙ্গা নদীর পানির ন্যায্য পাওনা বুঝে পেয়েছে। অন্যান্য বিষয় নিয়েও সমাধান হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলেই নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ এখন প্রায় শেষের দিকে। পাশাপাশি অন্যান্য মেগা প্রকল্প, বিশেষ করে মেট্রোরেলসহ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম নদীর তলদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ হচ্ছে। মহাকাশ বিজয়ের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ নিজস্ব স্যাটেলাইট যুগেও প্রবেশ করেছে, যার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ আজ পারমাণবিক বোমা ছাড়া আর্থ-সামাজিক সকল সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
’৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশে সবচেয়ে সফল, সাহসী এবং মানবিক রাষ্ট্রনায়কের নাম শেখ হাসিনা মন্তব্য করে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা সবচেয়ে সফল কূটনীতিকের নাম। শেখ হাসিনার চলার পথ কখনো পুষ্প বিছানো ছিল না, তবুও তিনি এগিয়ে গেছেন মানুষের মুক্তির জন্য, অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য। তিনি এসেছিলেন বলেই কলহ-কোন্দলে জর্জরিত আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন এবং শেখ হাসিনা আজ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেও চার দশক অতিক্রম করেছেন। তিনি আজ আওয়ামী লীগকেও অতিক্রম করেছেন, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষের জীবন ও জীবিকার কথা মাথায় রেখে করোনার এই মহামারিতে শেখ হাসিনা দেশকে স্থিতিশীল পর্যায়ে রাখতে পেরেছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, খাদ্য ঘাটতির দেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত করেছেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বক্তব্য রাখেন।