খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত অমানবিক : লেবার পার্টি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৫ এএম, ১১ মে,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৫৬ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা প্রশ্নে সরকারের নেতিবাচক সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান বলেছেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত অমানবিক ও ধৃষ্টতাপূর্র্ণ। স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশে আইনের শাসন, ন্যায় বিচার ও সুশাসন না থাকায় দেশ আজ মাফিয়া রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। সরকার মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে হয়রানি করতেই আদালতকে ব্যবহার করে বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছে। বিনা চিকিৎসায় বছরের পর বছর কারান্তরীণ থাকায় বেগম খালেদা জিয়া এখন গুরুতর অসুস্থ। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসক টিম বিদেশে নেয়ার সুপারিশ করলেও সরকার চিকিৎসাপ্রাপ্তিতে বাধা সৃষ্টি করেছে। জরুরি সরকারের আমলে ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা ৮ সপ্তাহের মুক্তিতে বিদেশ গিয়েছিলেন। তৎকালীন আঃ লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিলও প্যারোলো মুক্তিতে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন। তাই বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে আইন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত প্রতিহিংসামূলক ও উন্নত চিকিৎসা বঞ্চিত রেখে মৌলিক অধিকার হরণের শামিল।
আজ সোমবার বাংলাদেশ লেবার পার্টির দফতর সম্পাদক আমানুল্লাহ মহব্বত স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় একথা বলেন।
লেবার পার্টির নেতৃদ্বয় বলেন, অনেক সাজাপ্রাপ্ত বর্তমান বিনাভোটের সরকারের এমপি-মন্ত্রী হিসাবে বহাল থাকলেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা নিতে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া শুধু তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নন, স্বাধীনতার ঘোষক ও মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারের সহধর্মিণী। তাঁর সাথে সরকারের এহেন আচরণ ফ্যাসিবাদী ও মানবতা বিরোধী অপরাধের শামিল। তাই দেশপ্রেমিক গণতন্ত্রকামী জনগণ ও বিশ্ব বিবেক মানবাধিকার সংস্থাসমূহকে দেশনেত্রীর চিকিৎসা নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হওয়ার আহবান জানাই।