গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানে প্রধান বাধা বিএনপি-কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৮ এএম, ১১ নভেম্বর,
বুধবার,২০২০ | আপডেট: ০৭:৪৪ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার পথে প্রধান বাধা বিএনপি।
আজ মঙ্গলবার শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর গুলিস্থানে নূর হোসেন চত্বরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘আজ গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে না পারলে এবং ৩০ লাখ শহীদের আকাঙ্ক্ষার অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল ও উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলে, সত্যিকারের গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করা যাবে না। গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার পথে বিএনপি প্রধান অন্তরায়।’
বিএনপির উদ্দেশে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের পৃষ্ঠপোষকতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ভাবাদর্শকে ধারণ করে যে রাজনৈতিক দলের জন্ম তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। তাদের কাছে গণতন্ত্র ছিল ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’ ভোটের গণতন্ত্র। যে ভোটে ‘না’ বাক্স ছিলই না। সেদিন কোনো কোনো কেন্দ্রে ১১০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। তাদের গণতন্ত্র কারফিউ গণতন্ত্র।
কাদের বলেন, বিএনপিকে আহ্বান জানাই- গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসুন। রাজনীতির ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসুন। গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার চক্রান্ত থেকে বেরিয়ে আসুন। ষড়যন্ত্র আর পেছনের দরজা দিয়ে আপনারা ক্ষমতা দখলের অপরাজনীতি পরিহার করুন। আসুন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী প্রজন্মের জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই’ যোগ করেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, নূর হোসেন সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একজন সাহসী বীরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। নূর হোসেন নিজের বুকে পিঠে লিখেছিলেন- ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’। সেদিন নূর হোসেনের শরীর ছিল জীবন্ত রাজনৈতিক পোস্টার।
শহীদ নূর হোসেন বাঙালির মনে সংগ্রামের অগ্নিশিখা জ্বালিয়ে দিয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।