পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি কাদের মির্জার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৮ এএম, ১৭ এপ্রিল,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৩৪ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২৪
আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় নোয়াখালীর পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাস পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা। সেইসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খিজির হায়াত খান ও তার অনুসারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনারও দাবি মেয়রের। দাবি না মানলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় নামারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কাদের মির্জা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ছেলে তাশিক মির্জার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে কাদের মির্জা এ হুঁশিয়ারি দেন।
এসময় তিনি বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে সংঘর্ষের সময় আটক তার অনুসারী সাবেক কাউন্সিলর শিমুলকে ছেড়ে দেয়ার দাবি জানান। লাইভে কাদের মির্জা বলেন, ‘পুলিশের সামনে পকেটে অস্ত্র নিয়ে মহড়া। এ কোন দেশ? এ দেশে কি আইনের শাসন নেই? ইউএনও’র সামনে বসে পকেটে অস্ত্র। এ দেশে কি মানবাধিকার সংস্থা নেই? তিনি বলেন, ‘আজকে আমাকে ফেসবুকে কথা বলতে দেয়া হয় না। অথচ আমার প্রতিপক্ষরা ফেসবুকে কথা বলতে পারছে। আমি পারছি না। এগুলো কে করছে? ওবায়দুল কাদের সাহেব তার বউয়ের অপকর্ম ঢাকার জন্য এগুলো করছে। আজকে তারা আমার পরিবারকে ধ্বংস করতে চায়’ বলেন কাদের মির্জা। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘ওসি তুমি মিথ্যা কথা বলো। মুনাফিক ১০ লাখ টাকা খেয়ে আজকে প্রতারণা করছো। তুমি আমার ছেলেদের জেলে দেয়ার ভয় দেখাও। তোমাকে এ সাহস কে দিয়েছে। বাজে লোক। সাবধান, সাবধান করে দিচ্ছি তোমাদেরকে।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই কাদের মির্জা আরও বলেন, ‘আমি কারও তোয়াক্কা করি না। আল্লাহ ছাড়া, জনগণ ছাড়া কাউকে ভয় করি না। আমি সাহস করে সত্য কথা বলবো। আমার পরিবার প্রয়োজনে এই পথে নিজেদের বিসর্জন দিবো। তারপরও কোনও অপরাধী, অপরাজনীতি, সন্ত্রাসী, অস্ত্রবাজ, ঘুষখোর সরকারি কর্মকর্তার সাথে আপস করবো না। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে কাদের মির্জার গ্রুপের সঙ্গে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের গ্রুপের সংঘর্ষে কাদের মির্জার ছেলেসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৩টার দিকে বাদল গ্রুপের ২৫-৩০ জন সমর্থক মির্জা কাদের বিরোধী মিছিল বের করলে মিছিলটি পুলিশি বাধার মুখে উপজেলা গেইটে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরই কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে আরেকটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি থানার সামনে পৌঁছালে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। ব্যাপক ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়। এতে তাশিক মির্জা, কাদের মির্জার ভাগ্নে মিরাজ, ছাত্রলীগ নেতা বোরহান উদ্দিনসহ কমপক্ষে ১৭ জন আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।