সকল প্রতিবন্ধকতা পদদলিত করে সত্য কথা বলে যাবো - কাদের মির্জা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৮ এএম, ১২ এপ্রিল,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৪৫ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, অন্যায়, অবিচার, অসত্যের বিরুদ্ধে ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠার পথে পাহাড়তুল্য প্রতিবন্ধকতা আসবে। সকল প্রতিবন্ধকতা পদদলিত করে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য সাহস করে সত্য কথা বলে যাবো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শনিবার দেয়া এক স্ট্যাটাসে কাদের মির্জা এসব কথা লিখেন। এরইমধ্যে তার স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হয়েছে। পোস্টটিতে মন্তব্যের ঘরে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ধরনের অভিব্যক্তি প্রকাশ করছেন অনেকে। সিফাত হাসান নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী কমেন্ট করেছেন, কোম্পানীগঞ্জে আপনার সঙ্গে কারও তুলনা করা অসম্ভব, আপনি আমাদের নেতা ছিলেন এবং সবসময় থাকবেন। আপনার নীতি আমাদের অনুপ্রেরণা। আমির হোসেন সাংবাদিক নামে অপর এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, আগে নিজের অন্যায়, অনিয়ম, অবিচার, মিথ্যাচারগুলো বন্ধ করুন, তারপর সকল অনিয়ম-অবিচার-মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বলুন।
লেখক হুমায়ুন আজাদের উক্তি দিয়ে মির্জা শাহনেওয়াজ টিটু নামে একজন লিখেছেন, সত্য একবার বলতে হয়; সত্য বার বার বললে মিথ্যার মতো শোনায়। মিথ্যা বার বার বলতে হয়; মিথ্যা বার বার বললে সত্য বলে মনে হয়। গত ১৬ জানুয়ারি বসুরহাট পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে বিজয়ী হন কাদের মির্জা। এর আগেও তিনি আরও তিনবার মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচনের আগে দলীয় নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে ব্যাপক আলোচনায় আসেন কাদের মির্জা। গেল ৯ মার্চ বিকেলে বসুরহাটের রূপালী চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খানের ওপর হামলার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা চলাকালে সভাস্থলের কয়েকশ গজ দূরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে সভার আয়োজনকারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল ও কাদের মির্জার অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। রাত ৯টার দিকে উভয়পক্ষের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষ শুরু হলে মিজানুরের সমর্থক শ্রমিক লীগ নেতা আলাউদ্দিন (৩২) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন গুলিবিদ্ধ হন, আহত হন কমপক্ষে অর্ধশতাধিক লোক। সংঘর্ষের ঘটনায় এক সাংবাদিকও নিহত হন। এসব ঘটনায় কাদের মির্জার বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। এরইমধ্যে গেল ৩১ মার্চ নিজের ফেসবুক পেজ আইডিতে এক পোস্টে দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন কাদের মির্জা। তিনি আর জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন করবেন না বলেও জানান।