সালথা ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি সাংবাদিক সম্মেলনে - শামা ওবায়েদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৭ এএম, ১১ এপ্রিল,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৫১ এএম, ২৭ অক্টোবর,রবিবার,২০২৪
ফরিদপুরের সালথায় সহিংসতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মী ও সাধারণ গ্রামবাসীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু বলেছেন, ৫ এপ্রিল রাতে সালথার ঘটনা ছিল গ্রামবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত। এটি ঘটা উচিত ছিল না। গ্রামবাসী মনের দুঃখে ইমোশনাল হয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে। এর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বলছেন এটি পরিকল্পিত এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা এর সাথে জড়িত। এটি একেবারেই ডাহা মিথ্যা কথা। আমরা এ ঘটনার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের চকবাজারে অবস্থিত একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের চতুর্থ তলার হলরুমে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
এসময় জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোদাররেস আলী ঈসা, সাবেক সহ-সভাপতি মোস্তাক হোসেন বাবলু, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আশরাফ নান্নু, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আফজাল হোসেন খান পলাশ, শহর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এমটি আখতার টুটুল, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির হোসেন, মহানগর যুবদলের সভাপতি বেনজির আহমেদ তাবরীজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সালথা পরিদর্শনে এসে সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে শামা ওবায়েদ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, হেফাজতের আড়ালে বিএনপি এ কাজ করেছে বলে তারা বলছেন। অথচ হেফাজত তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কওমী জননী আখ্যা দিয়েছিল। সেই হেফাজতকে তো আওয়ামী লীগই লালন পালন করেছে।
শামা ওবায়েদ বলেন, সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি ও গোয়েন্দা সংস্থা থাকা সত্ত্বেও যদি হেফাজত সারাদেশে এতো তান্ডব চালাতে পারে তাহলে সকলের কাছে এটি পরিষ্কার যে, হেফাজতকে আওয়ামী লীগ ব্যবহার করছে ও লালন পালন করছে। এভাবে সারাবিশে^ তারা দেখাচ্ছে যে হেফাজত এই তান্ডব চালাচ্ছে এবং আওয়ামী লীগই এই তান্ডব বন্ধ করতে পারে। এই নি¤œমানের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, ঘটনার রাতে পুলিশ যেই চিত্রটি দিয়েছিলেন পরেরদিন দেখা গেল মামলায় তা পুরাই উল্টো গেলো। ২০১৩ সালে নগরকান্দায় পুলিশের গুলিতে বিএনপির কর্মী মারুফ হত্যার পর সেই মামলায় নিহত মারুফের পরিবারকে আসামি করা হয়েছিল। একইভাবে ৪ এপ্রিলের ঘটনায় নিহতদেরও মামলার আসামি করা হয়েছে। সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর অসুস্থতাজনিত কারণে অনুপস্থিতিতে তার ছেলের নির্দেশে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় এসব মামলা ও গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি অবিলম্বে এসব মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দাবি করেন।
শামা ওবায়েদ বলেন, বিরোধী দলকে মোকাবিলা করতে হলে রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত হয়ে মাঠে এসে মোকাবিলা করতে হবে। কিন্তু প্রশাসন দিয়ে, রাষ্ট্র যন্ত্র দিয়ে দমন পীড়ন করে মিথ্যা মামলায় এলাকাছাড়া করে এই রাজনীতি বেশিদিন চালাতে পারবেন না। তিনি করোনা মোকাবিলায় সারাদেশে সরকারের সমন্বয়হীনতারও অভিযোগ করেন।