ক্ষমা না চাইলে হেফাজতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলার হুঁশিয়ারি ছাত্রলীগের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৪ এএম, ১০ এপ্রিল,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৪৫ পিএম, ১৪ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তান্ডব নিয়ে মিথ্যাচারের জন্য হেফাজতে ইসলামের নেতাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। ক্ষমা না চাইলে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা এ হুঁশিয়ারি দেন।
গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের হরতাল চলাকালে হামলা, ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব পরিদর্শনে এসে হেফাজতে ইসলামের জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর সাজেদুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তা-বের সঙ্গে সংগঠনটির কেউ জড়িত নয় বলে দাবি করেন। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আজ সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের নেতারা ঘটনার শুরু থেকেই মিথ্যা বলে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। “হেফাজতের কেউ তান্ডবে জড়িত নয়” এমন দাবিকে নিছক মিথ্যাচার ও অপরাজনীতি বলে মনে করে ছাত্রলীগ।’ ছাত্রলীগের এই নেতা বলেন, ‘গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ তিন দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চালানো তান্ডবের ভিডিও ফুটেজ ও স্থিরচিত্র গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়েছে। এসবের ভিডিও ফুটেজ ও ছবি আমাদের সবার কাছেই সংরক্ষিত আছে। ফেসবুকে সয়লাব হয়ে আছে তাদের ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র। তাদের মিথ্যা বক্তব্য ধর্মপ্রাণ মানুষকে মর্মাহত করেছে।’ শোভন বলেন, ‘গত ২৭ মার্চ হরতালের আগের দিন আমাদের দলের মিছিল থেকে কেউ মাদ্রাসা কিংবা এর আশপাশেও যায়নি। অথচ হেফাজত নেতারা অপপ্রচার করছে আমাদের মিছিল করার কারণেই নাকি তা-ব ছড়িয়ে পড়েছে। তাহলে প্রশ্ন রাখতে চাই, হেফাজতের মাধ্যমে যে ২৬ মার্চ শহরে তান্ডব চালানো হলো সেটা কার উসকানিতে? আওয়ামী লীগের মিছিল হওয়ার আগেই সরাইলের অরুয়াইল পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা হলো কী কারণে?’ এসময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল হেফাজতের চালানো তান্ডবের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান। পাশাপাশি ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনায় জড়িতদের শিগগির গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।