সোনারগাঁয়ে আ’লীগ অফিস ভাংচুর ও মহাসড়ক অবরোধ হেফাজতের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৫ এএম, ৪ এপ্রিল,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১০:১০ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে তার দ্বিতীয় স্ত্রীসহ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় রয়েল রিসোর্ট থেকে নিয়ে গেছেন তার সমর্থকরা।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় তাকে নিয়ে যায়। ওই সময়ে ওই রিসোর্টে ব্যাপক ভাংচুর চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী সমর্থকেরা। পরে বিক্ষুব্ধ হেফাজতের সমর্থকরা ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড় অবেরোধ করে বিক্ষোভ, স্থানীয় আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুর করে।
জানা গেছে, শনিবার বিকেলে মামুনুল হক বিকেলে সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে আসেন। তখন সঙ্গে দ্বিতীয় স্ত্রী ছিল। ওই সময়ে বিষয়টি দেখতে পেরে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ রনি সহ অনুগামীরা উপস্থিত হয়ে রিসোর্টের ৫ম তালার ৫০১ নম্বর কক্ষে তাকে অবরুদ্ধ করে ফেলে। তারা মামুনুল হকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। খবর পেয়ে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গিয়ে সেখানে হাজির জন।
মামুনুল হকের দাবি, সঙ্গে থাকা নারী নাম আমিনা তৈয়্যব। ২ বছর আগে তিনি বিয়ে করেছেন। তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী। আমিনাকে সঙ্গে নিয়ে সোনারগাঁয়েসহ রিসোর্টে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি।
মামুনুল হক বলেন, মাস্তান প্রকৃতির লোকেরা এসে আমাকে আমার ওয়াইফসহ নাজেহাল করেছে। আমাকে আক্রমণ করেছে। আমার বক্তব্য পরিষ্কার, আমরা এখানে একটু রিফ্রেশমেন্টের জন্য এসেছিলাম। এখানে অনেক উচ্ছৃঙ্খল লোক এসেছে। আপনারা দেখেছেন। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানান, মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানাধীন রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে এক নারীসহ অবস্থান করছেন এমন খবরে স্থানীয় লোকজন রিসোর্ট ঘেরাও করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। মামুনুল হক পুলিশকে জানিয়েছেন সঙ্গে থাকা নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। পরে পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দিয়ে সেখান থেকে উদ্ধার করেছে।
এদিকে রাত ৭টায় শত শত লোকজন রিসোর্টের সামনে জড়ো হন। সেখানে তারা গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। ওই সময়ে মামুনুল হক ও তার স্ত্রী বেরিয়ে আসে। বিক্ষুব্ধ হেফাজত নেতাকর্মীরা তখন রিসোর্ট ভাংচুর করে। লোকজন মামুনুল হককে সঙ্গে নিয়ে উপজেলার আমিনপুর ঈদগাহ ময়দানে যান। সেখানে মামুনুল হক বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীকে শান্ত থাকতে বলেন। তিনি ওই এলাকা ছেড়ে গেলেও স্থানীয়রা মহাসড়ক অবরোধ করে। রাত ৯টার পর হেফাজতের সমর্থকরা মহাসড় থেকে চলে গেলে যাবাহন চলাচল শুরু করে।