বিএনপির মায়াকান্না ‘মাছের মায়ের পুত্রশোক’ - কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৫ এএম, ১ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৪১ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
মোদিবিরোধী বিক্ষোভে বিএনপির সম্পৃক্ততা ও উস্কানির প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতারা বলেছেন এর সাথে তাদের কোনও যোগসূত্র নেই- তাদের একথা শুনলে হাসি পায়। একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি এ সকল সন্ত্রাসী কার্যকলাপের উস্কানি ও প্রশ্রয় দিচ্ছে। জনগণের সম্পদে আগুন ধরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়ে তারাই আবার সমাবেশও করছে। বিএনপির মায়াকান্না মাছের মায়ের পুত্রশোকের মতো। সরকারের পদত্যাগের আহ্বান বিএনপির ‘অগণতান্ত্রিক আচরণ’ বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন ও আন্দোলনে ব্যর্থতার জন্য বিএনপি নেতাদের “টপ টু বটম” দল থেকে পদত্যাগ করা উচিত। তিনি বলেন, নিরপেক্ষ বলতে শিশু আর পাগল ছাড়া কেউ নেই- বিএনপি নেত্রীর এ কথা নিশ্চয়ই ভুলে যায়নি জনগণ। নিজেদের জনবিচ্ছিন্নতা আড়াল করতে বিএনপি এখন সরকারের পদত্যাগ দাবি করছে। বিএনপির এ আহ্বান হাস্যকর। জনগণ নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে, সুতরাং মেয়াদ শেষ হলেই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।
আজ বুধবার ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন। সরকার পরিকল্পিতভাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করেছে- বিএনপি মহাসচিবের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবেই কাজ করছে। বিচার বিভাগের ওপর সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। বিএনপির কাছে নিরপেক্ষতা হচ্ছে, তাদের পক্ষে রায় গেলে বিচার বিভাগ স্বাধীন, আর বিপক্ষে গেলে বলে সরকার হস্তক্ষেপ করেছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশন জয়ের গ্যারেন্টি দিলেই নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ। রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিএনপি অপপ্রচার ও মনগড়া কথা বলে যাচ্ছে অবিরাম, অথচ তারাই পরিকল্পিতভাবে বিচার বিভাগ নিয়ে মিথ্যাচার করছে।
তিনি বলেন, গত চার দশক পার হলেও বিএনপির রাজনীতি থেকে সন্ত্রাস নির্ভরতা একটুও কমেনি। জন্মলগ্ন থেকেই ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসের রাজনীতি যারা করে আসছে তাদের কাছে জনস্বার্থের চেয়ে ক্ষমতাভোগই অধিকতর কাক্সিক্ষত। ক্ষমতা ফিরে পাবার মোহে বিএনপি এখন অন্ধ। যারা ভারত সফর শেষ করে বিমানবন্দরে এসে বলে “গঙ্গার পানি বণ্টনের কথা বলতে ভুলে গেছে” তাদের মুখে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের কথা মানায় না বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, বিএনপি বিরোধী দল হিসেবে সহযোগিতা না করে ভারত বিরোধিতার ভোঁতা অস্ত্রে শাণ দিচ্ছে। গত ক’দিনে চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানে যে তান্ডবলীলা চালানো হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ নিয়ে বিএনপি নেতারা বলেছেন এর সাথে তাদের কোনও যোগসূত্র নেই- তাদের একথা শুনলে হাসি পায়, ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না। একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি এ সকল সন্ত্রাসী কার্যকলাপের উস্কানি ও প্রশ্রয় দিচ্ছে এবং জনগণের সম্পদে আগুন ধরিয়ে দেয়ার নির্দেশদাতা হয়ে আবার সমাবেশও করে, বিএনপির মায়াকান্না মাছের মায়ের পুত্রশোকের মত। বিএনপিকে সরকারের অন্ধ সমালোচনা না করে করোনাকালে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহবান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিজেরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন এবং জনগণকেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদ্বুদ্ধ করুন, এটাই দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে সবার দায়িত্ব।