কাদের মির্জার বিরেুদ্ধে মামলার আবেদন ফেরত দিয়েছে আদালত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০২ এএম, ১৬ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:১৫ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের বিবদমান দু’টি গ্রুপের বিরোধের জেরে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তি যোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় এখতিয়ার না থাকায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জার বিরুদ্ধে মামলার অেেবদন ফেরত দিয়েছে আদালত।
আজ সোমবার বিকালে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৪ নম্বর আমলী আদালেতের বিচারক এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজান আদালতে বাদী পক্ষের আইনজীবীর দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলার শুনানি শেষে এখতিয়ার না থাকায় মামলাটি ফেরত দেন। তার সাথে বাদীকে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দিয়েছেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো.হারুনুর রশীদ হাওলাদার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, দুপুরে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলাটি এ আদালতের এখতিয়ার না থাকায় আদালত বিকালে শুনানি শেষে মামলাটি ফেরত দিয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার নোয়াখালী দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শোয়েব উদ্দিন খানের আদালতে এ মামলা দায়ের করা হবে।
উল্লেখ্য, মামলার বাদী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরজুমান আরা পারভীন তিনি তার স্বামী উপজেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে মারধরের ঘটনায় মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে ৯৭ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে একটি মামলার আবেদন করেন।
অপরদিকে, উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় মির্জা কাদেরের অনুসারী উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন পিটন বাদী হয়ে মিজানুর রহমান বাদলকে প্রধান আসামি করে ১০৫ জনের নাম উল্লেখ করে আজ সোমবার (১৫মার্চ) একটি মামলার আবেদন করলে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে এ মামলার তদন্ত করতে নির্দেশ দেয়।
এর আগে, গত (৯ মার্চ) আ.লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর হামলা ও আলাউদ্দিন হত্যার ঘটনায় এজাহার দুটিতে কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু থানা পুলিশ সেই এজাহারগুলো মামলা হিসেবে গ্রহণ না করায় ওই দুই বাদী আদালতে মামলার আবেদন করেন।