মুখে লাগাম দিন, কাদের মির্জাকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:২০ পিএম, ১৫ মার্চ,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৪৮ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২৪
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে ‘মুখে লাগাম’ দিতে বললেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজম পাশা চৌধুরী রুমেল ।
গতকাল রবিবার (১৪ মার্চ) রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে কাদের মির্জার পৌরসভা ভবনে আক্রমণ নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে তিনি এ পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, সত্যবচনের নামে কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জের মানুষকে দ্বিধা-বিভক্ত করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। কোম্পানীগঞ্জে সব অপকর্মের নায়ক হচ্ছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
‘আওয়ামী লীগের দলীয় গঠনতন্ত্র কাদের মির্জার কাছে বিক্রি করা হয়েছে কি না’ এমন প্রশ্ন রেখে যুবলীগ নেতা আরো বলেন, কথায় কথায় উপজেলা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটির রদবদল করে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের কমিটি ঘোষণা করছেন তিনি।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও মনোনয়ন দিচ্ছেন তিনি। এ ক্ষমতা তাকে কে দিয়েছে? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, জেলা নেতা ও স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিককালে ‘সত্যবচনের’ নামে জঘন্য মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন মেয়র কাদের মির্জা।
তিনি আরো বলেন, মেয়র মির্জা রোববার সন্ধ্যায় ফেসবুক লাইভে এসে বলেছেন, আমার ১২ বছরের শিশু ছেলেও নাকি অস্ত্র হাতে তার পৌরসভা কার্যালয়ে আক্রমণ করেছে। ‘সত্যবচনের’ নামে এ ধরনের ‘জঘন্য মিথ্যাচারের’ তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই।
‘কাদের মির্জার ছেলে তাসিক মির্জা ইউনিভার্সিটিতে পড়েন। ওই ছেলে নাকি ভালো। আর আমার ১২ বছরের শিশু ছেলে নাকি সন্ত্রাসী। তাসিক মির্জার অপকর্মের বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জবাসী সবই জানে।’
যুবলীগ নেতা রুমেল চৌধুরী বলেন, দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে অনুরোধ, সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক। এখানে ‘সত্যবচনের’ নামে চরিত্র হনন ও মিথ্যাচারের মহোৎসব চলেছে।
কাদের মির্জা নিজের স্বার্থে যখন যাকে ইচ্ছা মনে হচ্ছে, চরিত্র হনন করে ক্ষান্ত হচ্ছেন না। টেন্ডারবাজ, মাদক কারবারি, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীও বানাচ্ছেন।