তিনি তো আমাদের পদত্যাগ চাইবেনই, কারণ আমরা যে তাদের পদত্যাগ চেয়েছি-ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১৯ এএম, ২১ অক্টোবর,
বুধবার,২০২০ | আপডেট: ১১:৩১ এএম, ১১ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
স্থানীয় সরকার নির্বাচন আবারও প্রমাণ করলো যে আওয়ামী লীগ তথা দলীয় সরকারের অধীনে এদেশে কখনই সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়। বিশেষ করে বর্তমান নির্বাচন কমিশন যারা পুরোপুরি সরকারের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে, তাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের কালীবাড়ির নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিকেল ৪ টার সময় একটা খবর পেয়েছি প্রায় সবগুলো কেন্দ্রে একই ঘটনা ঘটেছে। যাত্রাবাড়ি ও নওগাঁয় একই কায়দায় নির্বাচন হয়েছে। পাবনা-৪ এ একই চেহেরা লক্ষ্য করা গেছে। যে চেহেরা ছিল ২০১৮ তে। নির্বাচনের আগের দিন রাতেই ব্যালট ভরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটের ফলাফলটা তাদের মত করে তৈরি করে নেয়া আরকি।
মির্জা ফকরুল আরও বলেন, ২০১৪ তে একটা নির্বাচন হয়েছে। যেখানে কেউ ভোট দিতে যায়নি। ১৫৪ টা সিটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয় তারা। তখন থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখন এই প্রক্রিয়া আরও তীব্র হয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা পুরোপুরী ধ্বংস হয়ে পরেছে। কেন্দ্রগুলিতে ভোটার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। তবে বিএনপি মনে করেছিল সরকারি নির্বাচন বাদে স্থানীয় সরকার ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে হয়তো ভোটাররা ভোট দিতে আসবে। কিন্তু এখানেও তারা ভোট দিতে আসেনি। এটার জন্য দায়ী নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার।
আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির মহাসচীবসহ নেতাদের পদত্যাগ চেয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি তো আমাদের পদত্যাগ চাইবেনই। কারণ আমরা যে তাদের পদত্যাগ চেয়েছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমাদের কথা পরিস্কার, আমরা নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতার পরিবর্তনে বিশ্বাস করি। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি হিসেবে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। আপনারা লক্ষ্য করেছেন ঢাকায় নির্বাচন হলো সেখানে ১০ শতাংশ ভোট পরেছে। কিন্তু ভোটারের সংখ্যা যেটা দেখানো হয়েছে সেটা আর কি বলবো।
তিনি বলেন, মজার ব্যাপার হলো প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা সেদিন বলেছে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। এর উপরে আর কি বক্তব্য থাকতে পারে। এটা প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়। জোর দিয়ে বলতে চাই নির্বাচন কমিশন যদি পরিবর্তন না হয়, নির্বাচনকালীন সরকার যদি পরিবর্তন না হয় তাহলে দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও পৌর মেয়র মির্জা ফয়সল আমীন, সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, দুলাল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম শরিফ, দপ্তর সম্পাদক মামুন অর রশিদ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, এ্যাড. জয়নাল আবেদীন, এ্যাড. আশিকুর রহমানসহ বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।