মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মানে খেয়াল-খুশিমতো লেখা বা বলা নয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৯ এএম, ১৩ মার্চ,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৪৭ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মানে খেয়াল-খুশিমতো লেখা বা বলা নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতেই নাকি সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছে- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোনো আইনের বলে নয়, শেখ হাসিনা সরকার টিকে আছে জনমানুষের আস্থা ও ভালোবাসায়। ক্ষমতা দেয়ার মালিক সৃষ্টিকর্তা আর দেশের জনগণ। সরকার যেকোনো আইন প্রণয়ন করে জনস্বার্থে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডিজিটাল সিকিউরিটির আইনগত কাঠামো রয়েছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মানে অন্যের অধিকার হরণ নয়, নয় খেয়াল-খুশিমতো লেখা বা বলা।’
আজ শুক্রবার ওবায়দুল কাদের নিয়মিত ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘বলা বা লেখার ক্ষেত্রে সত্যতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা থাকলে আইন কোনো বাধা নয়। তারপরও আইনের অপপ্রয়োগ যাতে না হয় সে জন্য শেখ হাসিনার সরকার ইতিমধ্যে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন।’
বিএনপির আন্দোলন ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘কোনো জুতসই ইস্যু খুঁজে না পেয়ে বিএনপি ঠুনকো ইস্যু নিয়ে মাঠ গরমের অপচেষ্টা করছে।’
বিএনপির নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন পাগল ও শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণা অবান্তর।’
তিনি বলেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, বিএনপিকে এ নিয়ে দাবি-দাওয়া পেশ করতে হবে না। বিএনপি রাজনৈতিক দলের চরিত্র হারিযে এখন গুজব পার্টিতে পরিণত হয়েছে। গুজব ও অপপ্রচারই তাদের একমাত্র ভরসা, সে জন্যই বিএনপি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের বিরোধিতা করে প্রকারান্তরে আধুনিক প্রযুক্তির বিরোধিতা করছে। অপপ্রচার চালানো আর জনগণ থেকে নিজেদের আড়াল করে রাখা বিএনপির স্বভাব উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাই জনগণ বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির কাছে ক্ষমতা ভোগের বস্তু। তাইতো তাদের আমলে ভোগের পেয়ালা উপচে পড়েছিল।