প্রস্রাব করায় কেন্দ্রীয় নেতাকে পেটালেন ছাত্রলীগকর্মী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ১১ মার্চ,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৫৭ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রাঙ্গণে প্রস্রাব করায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতাকে মারধর করে আহত করেছেন একই সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক কর্মী।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
হামলার শিকার পুতল চন্দ্র রায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় স্কুল ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (২০১০-১১ সেশন) ও জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন।
মারধরে অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ কর্মীর নাম সামিউজ্জামান সামি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এবং স্যার এ এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত সামিউজ্জামান সামিকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে পুতুল চন্দ্র রায় ও তার সঙ্গে থাকা আরেকজন আইন অনুষদের ভেতরে (মোতাহার হোসেন ভবন) একটি জায়গায় প্রস্রাব করছিলেন। এ সময় পাশেই জামান সামি ও তার কয়েকজন বন্ধু অবস্থান করছিলেন।
সামি এসে তাদের বাঁধা দেন এবং একজনের কলার ধরে ফেলেন। পুতুল তার পরিচয় দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সামি পুতুলের কপালে ঘুসি মারলে তার চোঁখের ভ্রুর কাছে ফেটে যায়। পরে তিনি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নেন।
হামলার শিকার পুতুল চন্দ্র রায়ের অভিযোগ, ‘সামিসহ দুজন অতর্কিত আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। পরে প্রক্টরিয়াল টিম আসার পরে তারা হাতেনাতে ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে মারার বিষয়টিও অস্বীকার করে। এ বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থার নেওয়ার জন্য শীর্ষ নেতাদের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।’
তবে অভিযুক্ত সামির বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘কোনো অপরাধীর জায়গা বাংলাদেশ ছাত্রলীগে নাই। আমরা এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নিয়েছি। ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করেছি।’
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার একটি ব্যাপার থেকে ঘটনাটি ঘটেছে। কোনো পক্ষই ঠিক কাজ করেনি। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সকলকে গভীর রাতে অপ্রয়োজনে চলাচল না করার পরামর্শ দিচ্ছি। এর জন্য প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’
অভিযোগপত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার (উপ-পরিদর্শক) আবুল মোমেন বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।’