আ.লীগে অন্তর্কোন্দল, বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও সাংসদের ছবি ভাঙচুর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৭ পিএম, ২ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৩৪ পিএম, ১৫ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাঁধাই করা ছবি পড়ে আছে মেঝেতে। ছবির ওপরে একটি দেশীয় অস্ত্র। বঙ্গবন্ধুর ছবির পাশেই পড়ে আছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি, এ ছবির পাশেও পড়ে আছে আরেকটি দেশীয় অস্ত্র। মেঝেতে পড়ে আছে স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের ভাঙচুর করা ছবি।
গতকাল সোমবার (১ মার্চ) কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়ন উত্তরপাড়া আওয়ামী লীগের দলীয় নির্বাচনী কার্যালয়ে দুপুরে হামলার পরের চিত্র এটি।
দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা দলীয় কার্যালয়ের অন্যান্য আসবাবপত্রও ভাঙচুর করে।
এ ঘটনায় ধামতী ইউপি চেয়ারম্যান মো.মহিউদ্দিন মিঠু স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সৈয়দ জসিম উদ্দিনকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘সৈয়দ জসিম তার দলবল নিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
সৈয়দ জসিম উদ্দিন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ধামতীর ওমর ফারুক, জানে আলম, তৌহিদ মেম্বার, শাহ আলম, কামাল হোসেন, দুলাল, হোসেন, সুলতান, রমজান আলীসহ আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেন।
চেয়ারম্যান মিঠু আরও বলেন, ‘সৈয়দ জসিম ধামতী ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী। তার নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুটি দলীয় কার্যালয়ে দেশীয় অস্ত্রসশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। তারা আমার চার-পাঁচজন কর্মীকেও মারধর করে একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সৈয়দ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘কারা হামলা করে অফিস ভাঙচুর করেছে তা আমি জানি না। আমরা কোনো লোক যদি হামলা করে থাকে তাহলে প্রমাণ করুন। আমি নির্বাচনের পর ঢাকায় চলে এসেছি।’
দেবিদ্বার থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘ধামতীতে দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’