ভোট ডাকাতরা রেহাই পাবে না, বিএনপি নেতা বাবু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৩ পিএম, ১ মার্চ,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:০১ পিএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সুলতান মাহমুদ বাবু বলেছেন, 'দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতেই আমরা পৌরসভার নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু উৎসবমুখর পরিবেশের পরিবর্তে কলঙ্কময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় আমরা এই নির্বাচন বর্জন করছি।
তিনি আরও বলেন, 'ডিজিটাল কারচুপির এ নির্বাচনে ভোটারদের আশার প্রতিফলন ঘটেনি। বিপরীতে ফাঁকিবাজির এ নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। যারা নির্বাচনের নামে ভোট ডাকাতি করছে, তাদের অবশ্যই জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে। কোনোক্রমেই ভোট ডাকাতরা রেহাই পাবে না।'
গতকাল রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র পদে প্রার্থীর ভোট বর্জনের সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে প্রধান বক্তা হিসেবে এসব কথা বলেছেন বিএনপি নেতা বাবু ।
পৌর শহরের ধর্মকুড়াস্থ উপজেলা বিএনপি'র অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থী ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তোলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে পুনরায় নির্বাচনের দাবী করেছেন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থী রেজাউল করিম ঢালী।
সংবাদ সম্মেলনে রেজাউল করিম ঢালী লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, 'ভোটগ্রহণ শুরুর পর বেলা বাড়ার সাথে সাথে অধিকাংশ কেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের পোলিং এজেন্টরা হাজির হলেও তাদেরকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যারা কেন্দ্রের বুথকক্ষে দায়িত্বপালন শুরু করেন তাদেরকেও হুমকি দিয়ে বের করে দিয়েছেন নৌকা প্রতীকের পোলিং এজেন্টরা।
নির্বাহী হাকিমদের কাছে ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ করেও প্রতিকার পাওয়া যায়নি। বরং খোদ পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অশ্রাব্য ভাষায় আহত হতে হয়েছে আমাকে।'
তিনি আরও বলেন, 'কয়েকটি কেন্দ্রের বুথকক্ষে ইভিএমে ভোটারদের আঙুলের ছাপ নেওয়ার পর নৌকা প্রতীকের পোলিং এজেন্ট ও নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তারাই ব্যালট বক্সে নৌকা প্রতীকের বোতাম টিপে ভোট দেওয়ার প্রতিবাদ করলে ধানের শীষ প্রতীকের কয়েজন এজেন্টকে মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
নৌকার প্রার্থী বহিরাগতদের এনে আগের রাতে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে মহড়া দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখিয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধিকে তোয়াক্কা না করে বহিরাগত ওই দলটিকে নিয়ে ভোটের দিন মোটরসাইকেল নিয়ে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে মহড়া দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকরা।
রিটার্নিং অফিসারের কাছে এসব অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত নির্বাহী হাকিম, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সদস্যরাও প্রশাসনিক কোনো পদক্ষেপ নেননি।'