ফরিদপুরে নায়াব ইউসুফের গাড়ি বহরে নৌকা সমর্থকদের হামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৫ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ১০:০৯ এএম, ১৭ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
ফরিদপুরের সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী প্রচারণাকালে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ন সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা নায়াব ইউসুফের গাড়ি লক্ষ্য করে এ হামলা চালায়।
গতকাল শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধা সাতটার দিকে গেরদার বুকাইলের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আগামীকাল ২৮ ফেব্রুয়ারি রোববার গেরদা ইউপির চেয়ারম্যান পদে এ উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে গেরদার আব্দুল খালেক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী মো. আরিফ হোসেনের সমর্থনে আয়োজিত এক নির্বাচনী সভা শেষে সন্ধার পর নায়াব ইউসুফ বুকাইলের মোড় এলাকায় গণসংযোগে নামেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নায়াব ইউসুফের প্রচারণাকালে পাশের স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর পূর্বনির্ধারিত একটি নির্বাচনী সভার প্রস্তুতি চলছিল। কিছুক্ষণ পর সেখানে ফরিদপুর হতে আওয়ামী লীগের জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হলে নৌকার কর্মী সমর্থকেরা সমাবেশস্থল ছেড়ে রাস্তায় চলে আসেন এবং জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে আকস্মিক নায়াব ইউসুফের গাড়িতে হামলা করে।
এসময় নায়াব ইউসুফের সাথে জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মো. আব্দুল লতিফ মিয়া, বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান চৌধুরী পংকজ, কোতয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান চৌধুরী রঞ্জন, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মিরাজ, মৎসজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো. সেলিম মিয়া ,জেলা তাঁতী দলের আহবায়ক এ্যাডভোকেট মামুন অর রশিদ মামুন, মহানগর যুবদলের সিনিয়র ,সহ-সভাপতি এম.এম ইউসুফ, মহিলা দলের নেত্রী নাজনীন আরা, রুকসুর সাবেক ভিপি মো. সেলিম মিয়া, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শাহরিয়ার শিথীল, বিএনপি নেতা শের শাহ, ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন রতন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনার পর শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এক তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে নায়াব ইউসুফ বলেন, হামলাকারীরা জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে তার গাড়িতে আঘাত করতে থাকে। এতে সেখানে এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তাঁর গাড়ির সামনে মোটর সাইকেল রেখে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়।
তিনি বলেন, এ অবস্থায় সেখানে কর্তব্যরত কোতয়ালী থানার একজন এসআই ও সাদা পোষাকে কর্মরত ডিবি পুলিশের একজন কর্মকর্তা তাদের গাড়িটি নিরাপদে বের করে আনার ব্যবস্থা করেন। সেখান হতে ফিরে তিনি ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামানকে বিষয়টি তাকে অবহিত করেন।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জানতে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। অপরাধ যেই করুক কারো প্রতি পক্ষপাতমুলক আচরণ করা হবেনা। নির্বাচনে যাতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে সেব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে নায়াব ইউসুফ অভিযোগ করেন, গেরদায় ধানের শীষের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দয়া হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করায় তিনজনের উপর হামলা করে আহত করা হয়েছে।
এছাড়া নিজেরাই নৌকার নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করে বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা হামলায় হয়রানীর চেষ্টা করছে। উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে লাখ লাখ টাকা বিলিবন্টন করা হচ্ছে। সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে এ নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের সহায়তা কামনা করেন তিনি।