জাতীয় পার্টি ভিক্ষার রাজনীতি করে না - জিএম কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২১ এএম, ১৯ ফেব্রুয়ারী,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৪২ পিএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের এমপি বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টি মহাজোটে নেই, কোনও জোটেই নেই। জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগ বা বিএনপির বি-টিম নয়। দলটি কারও দয়া বা ভিক্ষার রাজনীতি করে না।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে যৌথ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, ‘রাষ্ট্র ক্ষমতায় না থাকলে রাজনৈতিক দলগুলো দুর্বল হতে থাকে। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে আমাদের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে। তার আগে দলটি দুর্বল থাকলেও এখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে সুপার পাওয়ার হয়ে গেছে। বিএনপিও অনেক দিন রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে থেকে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। জাতীয় পার্টি আরও বেশি সময় রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে থাকার কারণে দুর্বল হয়েছে। এখন রাজনীতির মাঠে জাতীয় পার্টির ঘুরে দাঁড়ানোর সময়।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘১৯৯১ সালের পর থেকে দেশে সাংবিধানিকভাবেই একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতে আনুষ্ঠানিকভাবেই দেশে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। যারাই সরকার গঠন করে তারাই আইনের ঊর্ধ্বে থেকে দুর্নীতি ও লুটপাটে জড়িয়ে হয়ে পড়ে। উপজেলা পর্যায়ের নেতারাও বিদেশে হাজার কোটি টাকা পাচার করে। একটি দলের প্রার্থীরাই নির্বাচনে জিতছে, তাই রাজনীতির মাঠে অন্য দলগুলোর টিকে থাকাই দুরূহ হয়ে পড়েছে।’
জাতীয় পার্টি শীর্ষ নেতা বলেন, ‘তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে বৈধভাবেই রাষ্ট্র ক্ষমতা হস্তান্তর করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। কিন্তু তৎকালীন সরকার তিন জোটের রূপরেখার সব অঙ্গীকার ভঙ্গ করে এরশাদকে জেলখানায় বন্দি করে। তখন তার নামে কোনও অভিযোগ ছিল না। ঠুনকো অভিযোগ তুলে এরশাদকে নির্বাচন করতে দিতে চায়নি। কিন্তু গণমানুষের কঠোর আন্দোলনের মুখে পল্লীবন্ধুকে নির্বাচন করতে দিতে বাধ্য হয়েছিল। জেলখানায় বন্দি পল্লীবন্ধু ৫টি আসনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কখনোই জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যাত হননি। তিনি মৃত্যুর পরও গণমানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় সিক্ত।’
এ সময় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরিফা কাদের, উপদেষ্টা সচিব হেনা খান পন্নি, ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা আল মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান এইচ এম শাহরিয়ার আসিফ, যুগ্ম মহাসচিব মো. বেলাল হোসেন প্রমুখ।