সোনাইমুড়ীতে দুই মেয়র প্রার্থীর সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০৬ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:১২ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে দুই মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে মোহন নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও চারজন।
অপরদিকে, এ পৌরসভা নির্বাচনে ভোটারদের জোরপূর্বক নির্দিষ্ট প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করায় দুই এজেন্টকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পৃথক কেন্দ্রে এসব ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ মোহন সোনাইমুড়ী উপজেলার বাহারকুট গ্রামের আবদুল হকের ছেলে। অপর আহতরা হচ্ছেন- উলুপাড়া গ্রামের স্বপন মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (২২) ও আমিরাবাদ গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে সালা উদ্দিনসহ (২৯) চারজন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা জানান- তারা সবাই আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ভিপি নুরুল হক চৌধুরীর সমর্থক। আজ সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর তারা পৌরসভার ৬নং বাটরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পাশের একটি বাড়িতে বসেছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোবাইল প্রতীকের প্রার্থী আবুল বাশারের একদল সমর্থক তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান।
এসময় হামলাকারীরা তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালান ও ককটেলের বিস্ফোরণ করেন। এতে মোহনের পা’সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে। হামলার সময় দৌঁড়ে পালাতে গেলে মনির ও সালা উদ্দিনসহ চারজনকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে জখম করেন হামলাকারীরা।
আহত মনির হোসেন বলেন, ‘কোনো প্রকার উস্কানি ছাড়াই মোবাইল প্রতীকের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মোহন, সালা উদ্দিনসহ আমরা তিনজন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছি। মোহনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
বাটরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুবেল মিয়া জানান, সকাল থেকে কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। সকালে কেন্দ্রের বাইরে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি।’
এদিক, পৌরসভাটির ১নং কৌশল্যারবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা ১১টার দিকে ভোট দিতে আসা কয়েকজন ভোটারকে জোরপূর্বক সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীর চশমা প্রতীকে ভোট দিতে বলে দুইজন এজেন্ট। পরে ভোটারদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দুই এজেন্টকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন।
অপরদিকে, অনিয়মের অভিযোগে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, পৌরসভার মোট ৯টি ওয়ার্ডের ৯টি কেন্দ্রে রোববার সকাল থেকে ভোটগ্রহণ চলছে। পৌরসভাটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ২৫ হাজার ২৩২ জন, যার মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৮৩৬ ও নারী ভোটার রয়েছে ১২ হাজার ৩৯৬ জন।