বগুড়ার ধুনট উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪৪ এএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১০:১৪ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ, ১০০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ধুনট উপজেলা পরিষদ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। পুরো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন সংসদ সদস্য ও বীরমুক্তিযোদ্ধা হাবিবর রহমান এবং অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক টিআইএম নুরুন্নবী তারিক। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক করে কোনো সমঝোতা হয়নি।
এ অবস্থায় ৩০ জানুয়ারি ধুনট পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী অধ্যাপক টিআইএম নুরুন্নবী তারিক পরাজিত হন। এ পরাজয়ের নেপথ্যে এমপি গ্রুপের নেতাকর্মীদের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে সম্প্রতি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এমপি পক্ষের মহসীন আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরেই টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আজ বেলা ১১টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির অনুসারী উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজাউদ্দৌলা রিপন কয়েকজন নেতাকর্মী নিয়ে উপজেলা পরিষদ সড়কে পৌঁছে। এ সময় এমপি পক্ষের লোকজন তাদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা উপজেলা পরিষদ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ফাঁকা গুলি, রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’