জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের অপচেষ্টার প্রতিবাদে বিএনপির দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৩ এএম, ১২ ফেব্রুয়ারী,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:১৫ এএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ‘বীরউত্তম’ খেতাব বাতিলের অপচেষ্টার প্রতিবাদের দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। কর্মসূচি হচ্ছে : আগামী শনিবার ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ সকল মহানগর এবং রবিবার সকল জেলা সদরে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন দুই দিনের এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটি মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তমের খেতাব কেড়ে নেয়ার সরকারি রাজনৈতিক অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এই অন্যায়, অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্যমূলক অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানাচ্ছে। দলের পক্ষ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ সকল মহানগরে এবং আগামী রবিবার ১৪ ফেব্রুয়ারি দেশের সকল জেলা সদরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করছে বিএনপি।
মোশাররফ হোসেন বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে এ দেশের জনগণের যখন আনন্দে উদ্ভাসিত হয়ে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের কথা তখন তারা এক অনির্বাচিত স্বৈরশাসনের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা পাওয়ার লক্ষ্যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে চলমান দুর্নীতি, অনাচার, দুঃশাসন এবং সীমাহীন নিপীড়ন থেকে দেশ ও দেশের জনগণকে উদ্ধার করাব জীবনপণ সংগ্রামে রত। জনমনে সৃষ্ট ক্ষোভ ও প্রতিবাদ যাতে সরকার বিরোধী আন্দোলনে পরিণত না হয় সেই লক্ষ্যে জনগণের দৃষ্টিকে বিভ্রান্ত ও ভিন্নদিকে পরিচালিত করার লক্ষ্যে গতকাল সরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের এক সভায় অযাচিত ও ক্ষমতাবহির্ভূতভাবে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধের ১ম সেক্টর কমান্ডার, ১ম ফোর্সেস কমান্ডার এবং ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর পরবর্তী সময় বিশৃঙ্খল প্রশাসন, বিধ্বস্ত অর্থনীতি এবং একদলীয় স্বৈরশাসনের অভিশাপ থেকে দেশকে রক্ষা করে যে অসমসাহসী ও দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রনায়োকিচিত ভূমিকা পালন করে দেশ-বিদেশে প্রশংসা অর্জন করেছেন মাতৃভূমির সেই অমর সন্তান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দেয়া, অসীম সাহসিকতার সাথে সম্মুখ যুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া এবং মাতৃভূমির স্বাধীনতা অর্জনে দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা পালনের জন্য ১৯৭২ সালে তৎকালীন সরকারের দেয়া ‘বীরউত্তম’ খেতাব বাতিলের মতো অপ্রত্যাশিত, অস্বাভাবিক ও অন্যায় এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের এই সিদ্ধান্ত শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক নয়, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অপমান ও অবমাননা। এমনকি এই সিদ্ধান্ত তাকে খেতাব প্রদানকারী তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর বিচার-বুদ্ধির প্রতিও অশ্রদ্ধা প্রকাশ। যেসব কারণে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তমের খেতাব কেড়ে নেয়ার কথা সভায় উপস্থিতগণ উল্লেখ করেছেন তার কোনোটাই যুক্তি কিম্বা বাস্তবসম্মত নয়।
তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট ও মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান বীরউত্তম খেতাব পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধকালীন তাঁর অসীম বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা ও অবদানের জন্য। পরবর্তীকালে তার কোনো কার্যক্রমই ১৯৭১ সালে তার অবদানকে মিথ্যা করে দিতে পারে না। বিধায় তার অর্জিত খেতাব বাতিল অসঙ্গত এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। যদি এ ব্যাপারে জামুকার যুক্তি মানতে হয় তাহলে স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে বহু নেতা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্রবিরোধী কার্যক্রমের জন্য অভিযুক্ত হবেন। আর সংবিধান ও সংবিধানের মূল চেতনা লঙ্ঘন সমার্থক বিধায় জনগণ অবশ্যই প্রশ্ন তুলতে পারে যে, কারা মূল সংবিধানে ‘জরুরি অবস্থা জারির বিধান করে জনগণের মৌলিক অধিকার হরণের ব্যবস্থা করেছিল? কারা সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী বলে দাবি করে তাকে সংবিধানের অংশ বানিয়ে মুক্তবাজার অর্থনীতি অনুশীলন করছে? কারা রক্ষীবাহিনীর নামে দলীয় রাজনৈতিক বাহিনী বানিয়ে সেই বাহিনীর কার্যক্রমকে ইনডেমনিটি দিয়ে হাজারো মুক্তিযোদ্ধার অপমৃত্যুর কারণ হয়েছে? কাদের সময় বিনা বিচারে অনির্দিষ্ট কাল কারাবন্দি রাখার জন্য বিশেষ ক্ষমতা আইন করে জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে? সরকারি হেফাজতে বন্দি রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিনা বিচারে হত্যার দৃষ্টান্ত কারা প্রথম স্থাপন করেছে? এসব কি সংবিধানের লঙ্ঘন নয়? এসব ব্যাপারে জামুকা নিশ্চুপ কেন?’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি স্থায়ী কমিটির এই সিনিয়র সদস্য বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনার পর দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় তারাই ছিলেন যারা এর আগের সরকারের মন্ত্রী, এমপি ছিলেন। সংসদ বহাল ছিল। স্পিকার লন্ডনে কি মন্তব্য করেছিলেন তা সবার জানা। কিন্তু তারপরেও তিনি দলের নেতা ছিলেন। ১৫ আগস্ট যিনি সেনাবাহিনী প্রধান ছিলেন তাকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য করা হয়েছে, দলের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য করা হয়েছে। শহীদ জিয়া ২৪ সেপ্টেম্বর উপ-সেনাপ্রধান থেকে সেনাপ্রধান হয়েছেনÑ স্বাভাবিক নিয়মে। কিন্তু একই দিন প্রেসিডেন্ট মুশতাক আহমাদের যিনি মন্ত্রীর মর্যাদায় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হয়েছিলেন সেই জেনারেল (অব) আতাউল গণী ওসমানী সাহেবকে কি আওয়ামী লীগ তাদের সমর্থন দিয়ে ১৯৭৮ সালে শহীদ জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী করেনি? সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের উপরের পদে নিযুক্ত চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ মেজর জেনারেল খলিলুর রহমানকে আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীকে ১৯৭৯ সালে জামালপুর থেকে সংসদ সদস্য বানিয়েছে। শহীদ জিয়া যদি সংবিধান লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত হন (যদিও তাঁর তেমন কিছু করার সুযোগই ছিল না) তাহলে তার চেয়ে বড় পদে নিযুক্তদের তৎকালীন মন্ত্রী-এমপিদের ব্যাপারে সরকারি দলের নেতাদের এবং জামুকা’র মতামত জনগণ জানতে চায়। উল্লেখ্য যে, বর্তমানে সংবিধানের মূলনীতি বাতিলের বিষয়ে সাংবিধানিক বাধা থাকলেও ১৯৭৫-পরবর্তী সময়ে তা ছিল না। ফলে জাতীয় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ (দুই-তৃতীয়াংশ) সদস্যদের সমর্থনে সংবিধানের সংশোধনী কোনো অপরাধ হতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, শহীদ জিয়া বীরউত্তমের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা বিরোধীদের দিয়ে মন্ত্রিসভা গঠনের যে অভিযোগ করা হয়েছেÑ তাও গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ ’৭২ থেকে ’৭৫ সালের মধ্যে দালাল আইনে গ্রেফতারকৃত বহু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিকে তৎকালীন সরকারই মুক্তি দিয়েছিল। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ এই যে, ঐসব রাজনৈতিক নেতার জেলখানায় বিশেষ সুবিধা দেয়া এবং তাদের পরিবারকে সহায়তা করার কথা আওয়ামী লীগ নেতারাই প্রচার করেছেন। অন্যদিকে বর্তমানে ক্ষমতাসীন সরকারের বিভিন্ন মেয়াদে একাধিক চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধী ব্যক্তির দলে ও মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ার তথ্য তো সবারই জানা। ফলে এই অভিযোগও ধোপে টেকে না। ইতিহাস সাক্ষী, মুক্তিযুদ্ধকালে গঠিত পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ডা. মালেক ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড বাতিল এবং চিহ্নিত পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দেয়া হয়েছিল শেখ মুজিব সরকারের আমলেই। ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর রেডিও ও টেলিভিশনে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘আমরা প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধ গ্রহণের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। তাই মুক্তিযুদ্ধের শত্রুতা করে যারা দালাল আইনে অভিযুক্ত ও দন্ডিত হয়েছিলেন তাদের সাধারণ ক্ষমা প্রদান করা হয়েছে। তারা অনুতপ্ত হলে দেশ গড়ার সংগ্রামে অংশ নেয়ার সুয়োগ দেয়া হবে।’ বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা যেদিন দেশত্যাগ করেন সেদিন শহীদ জিয়া ছিলেন ক্ষমতাহীন ও গৃহবন্দি। সেদিন সেনাপ্রধান ছিলেন মেজর জেনারেল খালেদ মোশররফ। অথচ এ ব্যাপারেও শহীদ জিয়াকে দায়ী করে প্রকৃত দায়ী যে তাকে আড়াল করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। এসব ব্যক্তিকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রয়োজনে যখন বিদেশে থাকতে বাধ্য করার শর্তে চাকরি দেয়া হয় তখনও শহীদ জিয়া রাষ্ট্রপতি কিম্বা প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ছিলেন না। কাজেই এ ব্যাপারে তাঁকে দায়ী করা যায় না। কে না জানে যে, তথাকথিত ১/১১’র অবৈধ সরকারের কুশীলবদের নির্বিঘেœ বিদেশে যাওয়ার সুযোগ এবং তাদের অন্যতম একজনকে বিদেশের দূতাবাসে এক্সটেনশন দিয়ে চাকরিতে রেখেছে বর্তমানে ক্ষমতাসীন সরকার। অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী এসব ব্যক্তির প্রতি এবং ১৯৮২ সালে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলকারী এরশাদ সরকারের বিষয়ে বর্তমান সরকারের আচরণ অন্যায় অপরাধ না হলে অন্য কাউকে এমন বিষয়ে দোষারোপ করা নিঃসন্দেহে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অগ্রহণযোগ্য।
ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধ এক বিষয় নয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম সংগঠিত করার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ও তার প্রধান নেতার ভূমিকা অনস্বীকার্য। এ ব্যাপারে অন্যদের মধ্যে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং বিশেষ করে সংগ্রামী ছাত্র সমাজের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আমরা ২৫ মার্চ রাতে মেজর জিয়ার ‘উই রিভোল্ট’, ২৬ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীকে নিরস্ত্র এবং হত্যা করে বাঙালি সৈন্যদের সুসংহত করে প্রতিরোধ সংগ্রাম শুরু এবং ২৭ মার্চ প্রথমে নিজের নামে, পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। রাজনৈতিক কারণেও এসব অস্বীকার করার উপায় নেই। বীরউত্তম জিয়াউর রহমান যে প্রথম সেক্টর কমান্ডার এবং প্রথম ফোর্সেস কমান্ডার ছিলেনÑ এটাও ঐতিহাসিক সত্য। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ, বুদ্ধিদীপ্ত পরামর্শ এবং সাহসী নেতৃত্বের গাথা লিপিবদ্ধ আছে মহান মুক্তিযুদ্ধের সক্রিয় নেতাদের প্রকাশিত গ্রন্থ এবং সেই সময়কার পত্রিকা-সাময়িকীতে। দেশি-বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, সাংবদিকদের বক্তব্য এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বদলে দেয়ার বৃথা চেষ্টা যারা করেছেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। মহান স্বাধীনতার ঘোষক, অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা, সাহসী সেনাপতি এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার বীরউত্তম জিয়াউর রহমানের সাফল্য কারো জন্য মর্মপীড়ার কারণ হতে পারে কিন্তু ইতিহাস বিকৃত করার কিম্বা মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান কিম্বা অসম্মান করার অধিকার কারো নেই এবং এমন অপপ্রয়াস কখনও সফল হবে না। জিয়াউর রহমান বীরউত্তম এদেশের কোটি মানুষের হৃদয়ে মর্যাদার সাথে বেঁচে আছেন এবং থাকবেন চিরকাল। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটি মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তমের খেতাব কেড়ে নেয়ার সরকারি রাজনৈতিক অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এই অন্যায়, অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্যমূলক অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চ্ধৌুরী, সেলিমা রহমান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যানের মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজউদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, অবসরপ্রাপ্ত মেজর শাহজাহান ওমর বীরউত্তম, সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন ও চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আবদুস সাত্তার প্রমুখ।