জিয়াউর রহমানের ‘বীরোত্তম’ বাতিলের সিদ্ধান্ত ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রতি কলঙ্ক’-মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪৩ এএম, ১১ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৪০ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ‘বীরোত্তম’ বাতিলের সিদ্ধান্ত ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রতি কলঙ্ক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের কোয়ারেন্টাইনে থাকা মির্জা ফখরুল টেলিফোনে গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের কাছে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল খেতাবটি বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটাকে আমি মনে করি সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। এই সিদ্ধান্ত যারা নিয়েছে তাদের আমি কখনোই মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনে করি না। তারা স্বাধীনতার বিপক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে এবং পুরোপুরিভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি কলঙ্ক লেপন করা হলো। আমি এহেন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, এই খেতাবটা বাতিলে সিদ্ধান্ত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল নিয়েছে এবং তারা সরকারকে জানাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একে আমি মনে করি, জনগণের গণতন্ত্রের প্রতি এবং এই সরকারের অপকর্ম এবং যেসব দুর্নীতির চিত্র বেরিয়ে আসছে বিভিন্নভাবে তার থেকে জনগণের দৃষ্টি দূরে সরিয়ে দেয়ার জন্যই এটা করা হয়েছে।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের স্মরণীয় ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরোত্তম তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই বসে ছিলেন না। তিনি দীর্ঘ ৯ মাস সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দেশের ভেতর থেকে লড়াই করেছেন এবং বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ শুধু নয়, সারা পৃথিবীর মানুষ জানে যে, তার ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। এই সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষের শুধু নয়, বাইরের বহু লেখকের বহু লেখা আছে যার প্রমাণ রয়েছে। এই যে বীরোত্তম খেতাবটি তিনি পেয়েছিলেন সেই খেতাবটি পেয়েছিলেন কিন্তু স্বাধীনতার পরের যে সরকার শেখ মুজিবুর রহমানের যে সরকার, সেই সরকারই এই খেতাব তাকে দিয়েছিল।