আ’লীগের মতো সংবিধান লঙ্ঘনকারী দল আর নাই : গয়েশ্বর রায়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪৯ পিএম, ৪ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ০৭:৩৬ পিএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫২ বছরে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের মতো সংবিধান লঙ্ঘনকারী একটি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে নাই।’
আজ সোমবার (৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর ‘মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের প্রেক্ষাপটে আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘স্বাধীনতা ফোরাম’।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘১৯৭২ সালে সরকার গঠন করেছিল পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য ও ইস্ট পাকিস্তান রাজস্ব পরিষদের সদস্যরা। এটা কি ভুল বলছি? তাহলে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে, ছাত্র-জনতা, কৃষক-শ্রমিক সবাই মিলে যুদ্ধ করলাম সরকার গঠন করলো আওয়ামী লীগ, শেখ মুজিবুর- এ প্রশ্নটা কি কখনো আমরা করেছি? করি নাই। আওয়ামী লীগ যে সংবিধান তৈরি করেছিল ১৯৭২ সালে সেটি কি তারা মেনেছে? চুরি, ডাকাতি রাহাজানি, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, ব্যাংক ডাকাতি- এগুলো কি লেখা ছিল সংবিধানে? তাহলে আওয়ামী লীগ তো বাহাত্তরের সংবিধান ভঙ্গ করেছে। সংবিধান লংঘন করে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল তারা। আপনারা বাহাত্তরের সংবিধানের কথা বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছরে যুগে যুগে হিসাব করে দেখা গেলো, আওয়ামী লীগের মতো সংবিধান লঙ্ঘনকারী একটি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে নাই।’
শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একমাত্র আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কখনো পালাননি, এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান পালাননি, উনি যুদ্ধ করেছেন।’
‘মানুষ মারার অপরাজনীতি শেখ মুজিবুরের ছিল। একই জিনিস উত্তরাধিকার সূত্রে শেখ হাসিনা করেছেন,’ বলেন গয়েশ্বর রায়।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এত অপরাধ করে পালিয়ে গেল, এদের কে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করলো- গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী ছাত্রনেতাদের প্রতি এমন প্রশ্ন রেখে গয়েশ্বর বলেন, ‘তাদের কি মতামত আমার জানতে ইচ্ছে করে।’
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, ‘কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত দেশের জন্য শান্তি ফিরিয়ে আনে না।’
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান নিষিদ্ধ সকল দলের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। এমনকি আওয়ামী লীগকেও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। এজন্য তাকে আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়। প্রথম প্রথম প্রতিষ্ঠাতা হলেন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। আওয়ামী লীগের অনেকে তার নামই জানেন না।’
স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।