বিআরটিসিকে অনিয়মের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে হবে-সেতুমন্ত্রী

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিসি) লোকসান কমিয়ে আনার দিকে গুরুত্বারোপ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিআরটিসি’র লোকসান কমানোর যে চলমান ধারা তা বজায় রাখার নির্দেশ দেন তিনি। 

আজ বুধবার সকালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনÑ বিআরটিসি’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সভায় যুক্ত হন। 

বিআরটিসিকে লাভবান করতে সংশ্লিষ্টদের আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই প্রতিষ্ঠানকে অনিয়মের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। 

করোনার টিকা দেয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনায় রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে টিকা নিচ্ছে। তিনি বলেন, যারা সংশয় সৃষ্টি করার জন্য অপপ্রচার ও গুজব রটনা করছে, তাদের সব অপচেষ্টা আবারও ব্যর্থ হয়েছে।

পদ্মা সেতুর চলমান নির্মাণকাজের ধারাবাহিকতায় আগামী বছর (২০২২ সাল) জুনের মধ্যেই সেতুর অবকাঠামো নির্মাণকাজ শেষ করে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে যা সত্য নয়। চলমান কাজের ধারাবাহিকতায় আগামী বছর জুনের মধ্যেই সেতুর অবকাঠামো নির্মাণকাজ শেষ করে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।’

২০২৩ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধির যে কথা বলা হয়েছে তা নির্মাণ প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যদি কোনো মেরামতের প্রয়োজনই হয় সে জন্য তাদের ২০২৩-এর জুন পর্যন্ত সময় দেয়া হবে। সেতুর সকল ফিজিক্যাল ওয়ার্ক শেষ করার লক্ষ্য আগামী বছরের (২০২২) জুন পর্যন্ত। আশা করছি, ২০২২ সালের আগেই সকল ফিজিক্যাল ওয়ার্ক শেষ হয়ে যাবে।’

২০২৩ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ডের অংশ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মেয়াদ বৃদ্ধি মূল সেতুর ফিজিক্যাল ওয়ার্ক সম্পর্কিত নয়, বড় ধরনের কোনো প্রকল্পের ঠিকাদারদের দায়বদ্ধ রাখতে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদনের জন্য সাধারণত ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড ধরা হয়।