নির্বাচন নিয়ে এত দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কেন, প্রশ্ন রিজভীর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৭ পিএম, ২৬ অক্টোবর,শনিবার,২০২৪ | আপডেট: ১০:৫৮ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এত দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কেন বলে প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ শনিবার ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাজধানীর তেজগাঁও-এ লিফলেট বিতরণকালে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে রুহুল কবির রিজভী বলেন, একটি পরিস্থিতি ও দুনিয়া কাঁপানো বিপ্লবের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে তারা নিশ্চয়তা দেবে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের। সেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করা তাদের দরকার। এরমধ্যে সংস্কারের যে কথাগুলো উঠেছে, সেই সংস্কার তারা করবে। কিন্তু কথা হল সেটা তারা কত দিনে করবেন?
যে গণতন্ত্রের জন্য এত লড়াই, এত সংগ্রাম- অনেক মা তার সন্তানহারা, অনেক স্ত্রী তার স্বামীহারা- এটা তো শুধুমাত্র গণতন্ত্রের জন্য কথা বলার জন্য এবং নাগরিক স্বাধীনতার জন্য। তাই যদি হয় তাহলে নির্বাচন নিয়ে আপনাদের এত দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কেন? নির্বাচনের জন্য আপনারা যে তারিখটা দিবেন, সেটা বলে দিন- এরমধ্যে যতটুকু সংস্কার করা দরকার করুন।
তিনি বলেন, আজকে রাষ্ট্রপতির বিষয় নিয়ে কথা উঠেছে, আমরা সবাই জানি এই রাষ্ট্রপতি ফ্যাসিবাদেরই একটি প্রোডাক্ট। কিন্তু যাতে কোন সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি না হয় এজন্য অনেক চিন্তা করে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। অল্প শূন্যতা হলে সেই শূন্যতা ভরাট করে দেয়। কিন্তু বড় শূন্যতা হলে ওটা ভরাট করা মুশকিল হয়। আর বাংলাদেশের ভেতরের কিছু মানুষ এবং বাহিরের লোকজন নানা ষড়যন্ত্র চক্রান্তে মেতে উঠবে।
রিজভী বলেন, জনগণ তো সংস্কার চায়। শেখ হাসিনার বিচার বিভাগ জনগণ চায় না। শেখ হাসিনার প্রশাসন জনগণ চায় না, শেখ হাসিনার পুলিশ জনগণ চায় না, যে পুলিশ মানবদরদী হবে, যে জনপ্রশাসন জনগণের কল্যাণে আসবে, জনগণ সেই প্রশাসন চায়। এগুলো সংস্কার করতে কতদিন সময় লাগবে? বিচার বিভাগ হচ্ছে মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। এটা সংস্কার করতে কতদিন সময় লাগবে? বেশিদিন তো সময় লাগার কথা নয়।
এসময় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা ফখরুল ইসলাম রবিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দিনকাল/এসএস