সিলেটের এমপি-মেয়র সহ আ'লীগের অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী লন্ডনে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৪৭ পিএম, ৫ অক্টোবর,শনিবার,২০২৪ | আপডেট: ১২:২৬ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বিগত অবৈধ স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বিরোধী দলের উপর নির্যাতনকারী তথা জুলাই, অগাস্ট মাসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে গোপনে ও প্রকাশ্যে সিলেট শহরে সশস্ত্র মহড়া দান কারি ও ষড়যন্ত্রকারী প্রথম সারির প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীর লন্ডনে পালিয়ে এসেছেন। আর এদের অনেকেই পালিয়ে আসার রাস্তা হিসাবে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের বর্ডার দিয়ে প্রথমে ভারত যান এবং পরবর্তীতে লন্ডনে চলে আসেন বলে জানা যায়।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, ছাত্র আন্দোলনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সক্রিয় ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিরোধীদল দমন সহ আন্দোলন দমন করতে সক্রিয় ভূমিকা ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সিলেটের আরেক আলোচিত প্রভাবশালী নেতা সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ রেহানার আস্তাভাজন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। ইতিমধ্যে তিনি লন্ডনে এসে ভিডিও বার্তায় বলেছেন, শেখ হাসিনা এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, তিনি পালিয়ে যাননি। আর তার এই ভিডিও বার্তায় ব্রিটেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতারা হতাশ হয়েছেন। তারা মনে করেন কিভাবে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে, প্রশাসনের প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ মদদে এসব অপরাধীরা লন্ডনে এসেছেন।
সিলেট ৩ আসনের সাবেক অবৈধ এমপি মোহাম্মদ হাবিব, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী আন্দোলন সহ পালিয়ে আসা অন্যান্য নেতাদের মধ্যে রয়েছেন সুনামগঞ্জ সদরের সাবেক মেয়র নাদের বক্ত, প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট, সাবেক সিলেটের সিটি কমিশনার জেলা যুবলীগের সভাপতি আজাদ লন্ডনে অনুপ্রবেশ করেছেন।
এইসব বেশিরভাগ নেতারা সিলেটের জাফলং হয়ে প্রথমে ভারত চলে ভারতের শীলং চলে যান, অনেকে আবার অন্যান্য রোড ব্যবহার করে ইন্ডিয়া যান এবং পরবর্তীতে লন্ডন চলে আসেন।
সূত্র জানায়, নিরপরাধ ছাত্র-জনতা হত্যা সিলেটের সাংবাদিক তোরাব হত্যা সহ আন্দোলন বন্ধ করতে ছাত্রদের উপর গ্রেফতার ও দমন পিড়ন আর হত্যায় যেসব নেতৃবৃন্দ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তাদের মধ্যে এইসব নেতারাই বিরাট ভূমিকা পালন করেছেন। রঞ্জিত সরকার, ও মুশফিক, সিলেট ফাজিল চিস্ত এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী কমিশনার আফতাব তার বিরুদ্ধে জায়গা দখলসহ গত তিন আগস্ট আন্দোলনের সময় সুবিদ বাজার এলাকার প্রকাশ্য অশ্রের মহড়া দেয়ার অভিযোগ আছে।
মুরগি হান্নানের দাপটে জালালাবাদ এলাকার সাধারণ মানুষ আতংকে থাকতো সেও এখন লন্ডনে।
হবিগঞ্জে ছাত্র জনতা বিরোধী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী অভিযোগ থাকা হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী আরো ছোট বড় অর্থ শতাধিক প্রথম সারির নেতাকর্মী লন্ডনে অনুপ্রবেশ করেছেন। আর লন্ডন কে এখন তারা নিরাপদ আশ্রয় স্থল হিসাবে মনে করে।
সিলেট শহরের আতঙ্ক সৃষ্টি কারী সাবেক এমপি বিধান সাহা, লন্ডন আসার জন্য এখনো শিলং অবস্থান করছেন। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায় শিলং এ আরো শতাধিক তৃতীয় চতুর্থ শারির নেতা রা নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টায় আছেন। অচিরেই এদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। অন্যতায় বর্তমান সরকারকে ব্যর্থ করতে তারা তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখবে।