সিরাজগঞ্জে দুই মামলায় বিএনপির ৩৮৬ জন সহ অজ্ঞাত ৬০০ আসামী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪৯ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারী,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ০২:৪৯ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
সরকারী কাজে বাঁধা, ককটেল নিক্ষেপ ও মোটর সাইকেল ভাংচুরের ঘটনায় ৩৮৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬০০ জনের নামে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে সিরাজগঞ্জ সদর থানায়। এ মামলায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত নেতারা হলো, জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু, শহর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর শাহরিয়া শিপু, কামারখন্দ সরকারী হাজী কোরব আলী কলেজ শাখার ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামিম রেজাসহ ৭ জন।
আজ রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে সদর থানা ভারপ্রাপ্ত (ওসি) হুমায়ুন কবির মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারী) সকালে সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া বাজারে ১২টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ, সরকারী কাজে বাঁধা, ককটেল নিক্ষেপ ও ভাংচুরের ঘটনায় শনিবার রাতে পৃথক দুই মামলা দায়ের হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ সদর থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম ও কালিয়া হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে এই দুটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় জেলা যুবদলে সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবুকে ১নং আসামী করে ১৯৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩শ' জনের নামে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপরদিকে, সরকারী কাজে বাঁধা দেওয়ায় সদর থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম ১৯৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩শ' জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। দুই মামলায় মোট ৯৮৬ জন নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. আরিফুল রহমান মন্ডল বলেন, সরকারী কাজে বাঁধা ও পুলিশের উপর হামলা, ককটেল নিক্ষেপ ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে দুই মামলা হয়েছে। এই মামলায় ৭জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, শনিবার বেলা ১১ টার দিকে সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া বাজারে কালিয়াহরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শান্তি সমাবেশের প্রস্তুতির জন্য পাইকপাড়া মোড়ে সমবেত হয়। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে যাওয়ার সময় উভয় দলের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি হলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় সড়কের ওপর থাকা ১২টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়।