বরিশালে আধা কিলোমিটারের মধ্যে বিএনপি-আওয়ামী লীগের সমাবেশ, উত্তেজনা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২৪ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারী,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:১১ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
কিছুক্ষণের মধ্যেই পরই শুরু হবে বরিশাল বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। কিন্তু এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা। শুক্রবার রাতে বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ হঠাৎ করেই শান্তি সমাবেশের ডাক দেন। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এরই মধ্যে জড়ো হতে শুরু করেছেন। অপরদিকে দুদিন আগ থেকেই বিএনপির সমাবেশের প্রস্তুতি চলছে। মাত্র আধাকিরোমিটার দূরে দুটি সমাবেশ নিয়ে নগরীতে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
সমাবেশের বিষয়ে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শনিবার বিকেল ৩টায় সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও জঙ্গিবাদবিরোধী শান্তি সমাবেশ করবো। বিএনপির নৈরাজ্য সৃষ্টির অপতৎপরতার বিরুদ্ধে এ শান্তি সমাবেশ করা হবে।
এটা বিএনপির পাল্টা কর্মসূচি কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপি সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে। তাদের প্রচার ও প্রস্তুতিমূলক কোনো কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হয়নি। তারা নভেম্বরেও সমাবেশ করেছে। আমরা তাতেও বাধা দেইনি।
বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি যদি সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করে তাহলে ছাড় দেয়া হবে না।
বিভাগীয় সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে থাকবো।
হঠাৎ করে আওয়ামী লীগ সমাবেশ ডাকার প্রসঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরিশালে বিভাগীয় সমাবেশের সমন্বয়ক বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন বলেন, বিএনপির পূর্বঘোষিত বিভাগীয় সমাবেশ ব্যাহত করতে আওয়ামী লীগ সমাবেশ ডেকেছে। এতে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বিঘ্ন হতে হবে। বিএনপির সমাবেশ স্থল থেকে আওয়ামী লীগের সমাবেশের দূরত্ব বেশি নয়, তাই সংঘাতের আশঙ্কা আছে।
বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেন, বিভাগীয় সমাবেশের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা বরিশালে এসে আত্মীয়-স্বজনের বাসায় উঠেছেন। আওয়ামী লীগও শনিবার সমাবেশ ডেকেছে। এটা বিএনপির সমাবেশকে ব্যাহত করার জন্যই করা হয়েছে বলে আমি মনে করি।
বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে। উভয় দলের সমাবেশে পুলিশ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেবে। বিশৃঙ্খলা করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।